মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ভাষণে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটির দুর্নীতি, অপরাধ ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ভাষণের আগে ব্রাজিল কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভাষণে তিনি বলেন, “সমাজতন্ত্র, রাজনৈতিক শুদ্ধাচার থেকে ব্রাজিলের মুক্তি এখন থেকে শুরু হল।”
‘দুর্নীতির জোয়াল, অপরাধ, অর্থনৈতিক দায়িত্বহীনতা ও মতাদর্শগত আনুগত্য থেকে জাতিকে মুক্ত করতে’ তাকে সাহায্য করার জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে অস্বস্তি তৈরি করে রাখলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে ৬৩ বছর বয়সী বোলসোনারো গণতান্ত্রিক নিয়মকানুন মেনে চলার অঙ্গিকার করেছেন।
বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, মুক্ত বাজারের পক্ষে বোলসোনারোর অবস্থান বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতিটিকে পুনরুজ্জীবিত করবে; কিন্তু তিনি আমাজন রেইন ফরেস্টের সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ও ইতোমধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যাক খুনের দেশে পরিণত হওয়া ব্রাজিলের বন্দুক আইন শিথিল করতে পারেন এ আশঙ্কায় পরিবেশবাদী ও অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো উদ্বিগ্ন।
অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ ভোটাররা চরম ডানপন্থী বোলসোনারোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় এক ছুরি হামলায় আহত হয়ে কয়েক সপ্তাহ হাসাপাতালে ছিলেন তিনি। এ কারণে তার শপথ অনুষ্ঠানকালে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বোলসোনারো ও তার স্ত্রী একটি ছাদ খোলা রোলস রয়েস গাড়িতে চড়ে রাজধানীর সড়ক ধরে কংগ্রেসে যাওয়ার সময় আশপাশে ১০ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্য মোতায়েন ছিল।
শপথের পর এক টুইটে ‘যুক্তরাষ্ট্র আপনার সঙ্গে আছে’ বার্তা পাঠিয়ে বোলসোনারোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।