ইউনেস্কো ছাড়ল ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

২০১৮ সাল বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সঙ্গে সম্পর্কও শেষ হল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2019, 04:13 PM
Updated : 2 Jan 2019, 08:51 AM

২০১৭ সালেই ইসরায়েল বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে ইউনেস্কো থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল দেশ দুটি৷ সে ঘোষণাই এতদিনে কার্যকর হয়েছে।

২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইউনেস্কো পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ইউনেস্কোর সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির মৌলিক সংস্কারও দাবি করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘোষণার পর একইদিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুও তার দেশ ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।

ইউনেস্কোর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে তা কার্যকর হয় একবছর শেষে৷ ফলে,না চাইলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর সদস্য থাকতে হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে৷ তাদের সদস্য পদ প্রত্যাহার কার্যকরের সময়সীমা ঠিক হয় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত। অর্থাৎ, ২০১৯ সালকে স্বাগত জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের ইউনেস্কোর সদস্য পদ প্রত্যাহারের ঘোষণাও কার্যকর হয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউনেস্কোই প্রথম ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মার্যাদা দেয়, যা নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয় বলে জানায় জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলে।

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেওয়ার পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন সংস্থাটিকে তাদের বার্ষিক চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, যা সংস্থাটির মোট বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ। ইসরায়েলও নিজের প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়া বন্ধ করে।

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সদস্য পদ প্রত্যাহার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হলেও ইউনেস্কোর অর্থায়নে তা প্রভাব ফেলবে না। যদিও ২০১১ সালের পর থেকেই ইউনেস্কো আর্থিক সংকটে রয়েছে।

১৯৪৯ সালে ইউনেস্কোতে যোগ দেয় ইসরায়েল৷ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ প্রকল্পের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত সংস্থাটি বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘোষণা ও ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।