শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই ঘটনার সময় মসজিদটি প্রায় খালি ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
উপস্থিত মুসল্লিরা পরে ওই মুখোশধারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড হওয়া একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
কর্মকর্তারা জানান, মুখোশধারীদের হুট করে ঢুকে পড়া ও স্লোগান দেওয়ার সময় জুমার নামাজের আগে খুতবা পাঠকারী হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুক মসজিদটিতে ছিলেন না।
“মুখোশধারী একদল যুবক ঝড়ের বেগে মসজিদে ঢুকে মিরওয়াইজ যেখানে খুতবা পড়েছিলেন সেই মিম্বরের দিকে যায়, তাদের একজন জুতা পায়েই মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে যান এবং চিৎঁকার করে স্লোগান দিতে থাকেন,” বলেন এক কর্মকর্তা।
ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মসজিদের ব্যবস্থাপক কমিটি আনজুমান ওয়াকফ জামা মসজিদ।
“ওদেরই একজন ঘটনাটির ভিডিও করে, যা বোঝায় পুরো ঘটনাটিই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। স্বাভাবিকভাবেই এটি জনগণকে কষ্ট দিয়েছে, অশান্তি ও গভীর বিরক্তি সৃষ্টি করেছে। মসজিদটিকে নিয়ে তাদের অনুভূতিতে গভীর আঘাত হেনেছে এই ঘটনা। এটি ইসলামি স্থাপনা, মূল্যেবোধ ও শিক্ষার প্রতি ওই দুর্বৃত্তদের অশ্রদ্ধার প্রমাণ। ইসলামের নামে এই ঘটনা কেবল ক্ষতিকরই নয়, তারা এর (ইসলাম) অপব্যবহারও করছে,” বিবৃতিতে বলেছে মসজিদ কমিটি।
কাউকেই জামিয়া মসজিদ ও এর মিম্বরের পবিত্রতা লংঘন করতে দেওয়া হবে না; এ ধরনের চেষ্টা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে বলেও বিবৃতিতে সতর্ক করেছে তারা।
“এই জামিয়া মসজিদ কাশ্মীরের জনগণের আত্মিক, ধার্মিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র। এটি আমাদের সবার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও। এর কোনো ধরনের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে,” ভাষ্য আনজুমান ওয়াকফ জামা মসজিদের।