কংগ্রেসের দুই কক্ষই বৃহস্পতিবার কিছু সময়ের জন্য বৈঠক করলেও এ অবস্থার অবসান ঘটানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন আগামী সোমবার ফের বৈঠক করবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট। পার্লামেন্ট অধিবেশনে অংশ নিতে এখনো ওয়াশিংটনে ফেরেননি আইনপ্রণেতারা।
মেক্সিকো দেয়াল নির্মাণের জন্য তহবিল দেওয়া হবে কি হবে না সে বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় সরকারের অর্থ বরাদ্দ বাজেট পাস হচ্ছে না।
সময়মত বাজেট বরাদ্দ না হওয়ায় গত শনিবার দিনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ১৫টি বিভাগের মধ্যে নয়টির কার্যক্রম আংশিক বন্ধ হয়ে যায়। এসব বিভাগের মধ্যে পররাষ্ট্র, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, পরিবহন, কৃষি ও বিচার বিভাগ অন্যতম।
অচলাবস্থা না কাটলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় আট লাখ কর্মীকে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হবে বা বাধ্যতামূলক অস্থায়ী ছুটিতে যেতে হবে। চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল বরাদ্দ সময়ানুযায়ী হল না, তবে আগের দুটি অচলাবস্থা স্বল্প সময় স্থায়ী হয়েছিল।
কিন্তু এবার সরকারে অচলাবস্থা ২০১৯ সালে গড়াবে বলেই মানছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুপক্ষই। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ডিক ডারবিন এক টুইটে বলেছেন, “প্রেসিডন্টের সরকারে অচলাবস্থা অবসানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তিনি (ট্রাম্প) আপত্তিকর দাবি তুলে আমাদের সরকারকে জিম্মি করে রেখেছেন।”
ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য বাজেটে ৫শ’ কোটি ডলার বরাদ্দের দাবি জানিয়েছিলেন। রিপাবলিকান অধুষ্যিত প্রতিনিধি পরিষদ এ বিল অনুমোদন করলেও পরে সিনেটের ডেমোক্র্যাটরা তাতে বাধ সাধলে গত শুক্রবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার আংশিকভাবে অচল হতে শুরু করে।