হঠাৎ সফরে ইরাকে মার্কিন সেনাদের মাঝে ট্রাম্প

বড়দিনের চমক হিসেবে হঠাৎ করেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2018, 05:41 AM
Updated : 27 Dec 2018, 05:53 AM

প্রায় দুই বছর ধরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনকালে এই প্রথমবারের মতো ইরাকে গেলেন ট্রাম্প, ইরাকের প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে গেলেন তিনি; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

তার সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও ইরাকে গিয়েছিলেন।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পশ্চিমে আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেন এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা পরাজিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান।

ঘাঁটিটির একটি হ্যাঙ্গারে ক্যামোফ্লেজ উর্দি পরা সৈন্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সিরিয়ায় আমাদের উপস্থিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য নয় এবং এটাকে স্থায়ী করার সংকল্প কখনোই ছিল না। এখন কিছু সেনা বাড়িতে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে।”

ইরাকে গত বছর আইএস পরাজিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ব্যাপক মাত্রার কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি, তারপরও ইরাকি বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও তাদের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দেশটিতে ৫,২০০ জন মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।

হঠাৎ এ সফরে এসে ট্রাম্প ইরাকে তিন ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে তিনি জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে থেমে দেড় ঘন্টা অবস্থান করেন। এখানে ঘাঁটির একটি হ্যাঙ্গারে উপস্থিত কয়েকশ সেনার মধ্যে কয়েক জনের সঙ্গে হাত মেলান ও ছবি তোলেন।

এরপর রামস্টাইন থেকে তিনি ওয়াশিংটন ফিরে যান।

ইরাক সফরের সময় ট্রাম্প দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু শেষে সাক্ষাৎ না করে তিনি শুধু টেলিফোনে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। 

আব্দুল মাহদির দপ্তর জানিয়েছে, “সাক্ষাৎকারটি কীভাবে হবে তা নিয়ে মতভেদ হয়েছিল।”

ইরাকি আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, ওই সামরিক ঘাঁটিতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাতে রাজি হননি।

অপরদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় ও সফরের অল্প আগে সফর সম্পর্কে জানানোয় বৈঠকটির আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের মধ্যে ‘টেলিফোনে হৃদ্যতাপূর্ণ কথাবার্তা’ হয়েছে এবং আব্দুল মাহদি নতুন বছরে হোয়াইট হাউসে সফরে আসার ট্রাম্পের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে।