মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সাবেক নেতা ছিলেন আবিদি। গত সেপ্টেম্বরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
মঙ্গলবার করাচিতে নিজ বাড়ির সামনেই বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে বলে জানায় দেশটির দৈনিক ‘দ্য ডন’।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, সাঈদ আলি রাজা আবিদি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বাড়ির সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে হাসপতালে তার মৃত্যু হয়।
করাচি পুলিশের এক কর্মকর্তা ডনকে বলেন, “কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনই বলা কঠিন। এটি ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় যে কোনো কারণে হতে পারে। আমরা সবদিক বিবেচনা করে তদন্তে অগ্রসর হব।”
এমকিউএম’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের ‘সামরিক ক্ষমতাধারীরা’ এমকিউএম’র বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে আবিদিকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’ করেছে।
দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি টুইটারে আবিদিকে ‘ভালো বন্ধু’ বলে বর্ণনা করে তার হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার পাক সারজামিন পার্টির (পিএসপি) দুই নেতাকে রাস্তায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে।
২০১৩ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আবিদি। সর্বশেষ ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী পিএসপি’র সঙ্গে জোট গঠন করতে গত বছর নভেম্বরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।
জুলাইয়ের নির্বাচনে করাচিতে নিজ আসনে তিনি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে হেরে যান।