ওটো ওয়ার্মবিয়ার: উ. কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের আদেশ

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন শিক্ষার্থী  ওটো ওয়ার্মবিয়ারকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ কোটি ১০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2018, 01:26 PM
Updated : 25 Dec 2018, 01:26 PM

সোমবার ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া আদালতের বিচারক বেরিল হাওয়েল এ রায় দেন।

২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া ওয়ার্মবিয়ারকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোমাত্রই তিনি মারা যান। পিয়ংইয়ংয়ের নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে চলতি বছর এপ্রিলে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মার্কিন শিক্ষার্থীর বাবা-মা।

উত্তর কোরিয়া মুক্তি দিলে কোমায় থাকা অবস্থাতেই ২২ বছর বয়সী ওয়ার্মবিয়ারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের ঘাটতিই তার মৃত্যুর কারণ বলে পরে ময়নাতদন্তে জানায় কর্তৃপক্ষ।

“ওটো ওয়ার্মবিয়ারকে নির্যাতন, জিম্মি করা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং তার বাবা-মা ফ্রেড ও সিন্ডি ওয়ার্মবিয়ারের মানসিক আঘাতের জন্য উত্তর কোরিয়াই দায়ী,” ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়ে এমনই বলেন বিচারক।

পিয়ংইয়ং অবশ্য শুরু থেকেই মার্কিন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ওয়ার্মবিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

২০১৬ সালের মার্চে উত্তর কোরিয়ার একটি আদালত রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধে ওয়ার্মবিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্মবিয়ারের বাবা-মা।“ওটোর মৃত্যুর জন্য কিমের শাসনব্যবস্থাই যে আইনি ও নৈতিকভাবে দায়ী তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বচ্ছ ও মুক্ত বিচারব্যবস্থা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ,” বিবৃতিতে বলেন ফেড ও সিন্ডি।

“ঘটনার ন্যায্য বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না- ওটোকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা। প্রধান বিচারক হাওয়েলের আজকের এ চিন্তাশীল মন্তব্য আমাদের যাত্রাপথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ,” বলেন তারা।

রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার পক্ষের উপস্থিতি ছাড়া এ মামলায় হওয়া রায় কার্যকর করা কষ্টসাধ্য হবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর  মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেভাবে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পথও বন্ধ।

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্কের বাঁকবদলের চেষ্টা এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলার মধ্যে মার্কিন আদালতের এ রায় এল।