পোপ বলেন, যিশুর জন্ম হয়েছিল দারিদ্র্যের মধ্যে আস্তাবলের সাধারণ পরিবেশে। প্রত্যেকেরই উচিত এ থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনের প্রকৃত অর্থের প্রতিফলন ঘটানো।
যারা সম্পদ গড়ার নেশায় উন্মত্ত, বিশেষ করে তাদেরকে সাধারণ জীবনে ফেরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন, নিজেদের জিজ্ঞেস করি: জীবনযাপনের জন্য সত্যিই কি আমার এতকিছুর প্রয়োজন আছে? অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত জিনিস ছাড়া কি আমি চলতে পারি না? অতি সাধারণ জীবনযাপন করতে পারি না?”
বড়দিন শুরুর সময়টিতে ঐতিহ্য অনুযায়ী ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটারস বাসিলিকায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কথাগুলো বলেন পোপ ফ্রান্সিস। এসময় প্রায় ১০ হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ফ্রান্সিস সব সময় দরিদ্র এবং শরণার্থীদের পক্ষে কথা বলে এসেছেন।
এবারের বার্তায় পোপ আরো বলেন, অনেকে সম্পদ আহরণ আর ভোগবাদী বস্তুর আধিক্যের মধ্যে জীবনের মানে খুঁজে পান। মানবজাতির ইতিহাসে দাগ কেটে আছে এ অতৃপ্ত লোভ। এমনকী আজও অনেকেই বিলাসবহুল জীবনে প্রাচুর্যের সঙ্গে আহার করেন, অথচ এর বিপরীতে অনেকেরই দিনের রুটিটুকুও জোটে না।
যিশুর জন্ম মানুষের জীবনযাপনের এক নতুন পথের দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আর তা হচ্ছে, ভোগ নয় বরং ত্যাগ এবং ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা, বলেন তিনি।
মঙ্গলবার বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে সেন্ট পিটারস ব্যালকনি থেকে আরেকটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের। রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে ষষ্ঠ বড়দিন উদ্যাপন করছেন ৮২ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস।