গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ইউএসএস জন সি. স্ট্যানিস পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে।
ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া এবং দেশটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বেড়েছে। যে কারণে দীর্ঘদিন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রণতরী দেখা যায়নি।
ইরান নৌবাহিনীর কমান্ডার হাবিবুল্লাহ সায়ারি আইএসএনএ বার্তা সংস্থাকে বলেন, “উপসাগরে মার্কিন রণতরীর উপস্থিতিকে আমরা অতটা গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে আমরা সেটিকে অবশ্যই সমুদ্রে আমাদের জলসীমার কাছে ঘেঁষতে দেব না।
“ইরানের নৌবাহিনীর জাহাজ যেমন আটলান্টিক সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে যেতে পারে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীও ইরানের জলসীমার কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আসতেই পারে।”
তবে ইরান সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে সচেতন আছে বলেও জানান তিনি।
ইরানি এ কমান্ডার বলেন, “তাদের আমাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করার সাহস বা সক্ষমতা কোনটাই নেই। তাদের যে কোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা আমাদের আছে এবং এজন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান। তাদের অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে তেলের উপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল বিক্রির উপর কঠোর থেকে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির তেল বিক্রি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাইছে।
ইরান পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি তারা তেল বিক্রি করতে না পারে তবে উপসাগরের হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিয়ে তারা ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তেল রপ্তানি আটকে দেবে।
বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ তেলের চাহিদা আছে তার একপঞ্চমাংশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে হরমুজ প্রণালী হয়ে বাজারে যায়।