সিরিয়া সীমান্তে ‘শক্তি বাড়াচ্ছে তুরস্ক’

সিরীয় সীমান্তে আঙ্কারা নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা দেমিরোরেন (ডিএইচএ)।

নিউজ ডেস্ক.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2018, 10:50 AM
Updated : 23 Dec 2018, 10:50 AM

এরই মধ্যে বড় বড় পিকআপ ট্রাক ও সাজোঁয়া যানসহ প্রায় একশটি গাড়ি সীমান্ত এলাকার পথে রওনা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।

কী কারণে এ শক্তি বৃদ্ধি তা না বললেও সিরিয়ার উত্তরে কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে অভিযানের উদ্দেশ্যেই এ পদক্ষেপ হতে পারে, ধারণা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে আঙ্কারা কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে ঘোষিত একটি অভিযান স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। 

উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি আধিপত্য নিয়ে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই তাদের অস্বস্তির কথা জানিয়ে আসছিল। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে ওয়াইপিজির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলেও সন্দেহ তাদের।

গত শতকের ৮০-র দশক থেকে স্বাধীন কুর্দিস্তানের দাবিতে লড়াই করে যাওয়া পিকেকে-কে আঙ্কারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেই দেখে।

রোববার ডিএইচএ  তুর্কি সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরটি দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাতয়ের কিলিস জেলার দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। বহরটিতে ট্যাঙ্ক, ছোট কামান, মেশিনগানের পাশাপাশি বাসভর্তি কমান্ডো সদস্যরাও রয়েছেন। এ বহরের কিছু অংশ সীমান্তের টহল চৌকিগুলোর সঙ্গে যোগ দেবে; বাকিটা এলবেইলি জেলা দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে যাবে।

সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত মানবিজ শহর থেকে এলবেইলির দূরত্ব মাত্র ৪৫ কিলোমিটার। মানবিজকে ঘিরেই ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। নেটোভুক্ত দেশদুটি চলতি বছরের জুনে উত্তর সিরিয়ার এ শহর থেকে ওয়াইপিজে গেরিলাদের দূরে রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছিল।

সেই সমঝোতা অনুযায়ী কুর্দিদের সরিয়ে নিতে মার্কিনিরা দেরি করছে বলে আঙ্কারা গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছে।

সিরীয় সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে তুর্কি কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে সৈন্য সরিয়ে নিলে আঙ্কারা ওয়াইপিজের পাশাপাশি আইএসের বিরুদ্ধেও পরিকল্পিত অভিযানে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে দুই দফা সামরিক অভিযান চালিয়েছে। ‘ইউফ্রেতিস শিল্ড’ ও ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামের ওই অভিযান দুটিও কুর্দি ওয়াইপিজে ও আইএসের বিরুদ্ধে ছিল।