সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার তিনি দায়িত্ব ছাড়েন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বারাক ওবামার সময়ে নিয়োগ পাওয়া ম্যাকগার্ক আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর কেবল পদত্যাগের সময়টুকু এগিয়ে আনলেন।
সেনা প্রত্যাহারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার কয়েকদিন আগেও ম্যাকগার্ক দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
“আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে থাকা উচিত এবং এসব এলাকার স্থিতিশীলতা যেন বজায় থাকে তা নিশ্চিত করা উচিত। খিলাফতের উপরিকাঠামো পরাজিত হয়েছে, সুতরাং আমরা এখন চলে যাব- এমনটা যদি আমরা বলি, তা হবে পাগলামি। যারাই এ সংঘাতের দিকে নজর রাখছেন, আমার ধারণা তারাই আমার সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হবেন,” চলতি মাসেই বলেছিলেন তিনি।
সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিরা ‘দৌড়ের ওপর থাকলেও এখনও পরাজিত হয়নি’ পদত্যাগপত্রে বিশেষ এ মার্কিন দূত এমনটাই লিখেছেন বলে জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা আইএসের পুনরুত্থানের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে বলেও শঙ্কা তার।
কর্মকর্তাদের কাছে লেখা এক ইমেইলে তিনি ট্রাম্পের সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জোটের অন্যান্য অংশীদারদের ‘বিভ্রান্ত’ এবং লড়াইয়ে থাকা অংশীদারদের ‘হতভম্ব’ করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন, খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ম্যাকগার্কের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ‘কোনো ঘটনাই নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এর আগে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস পদত্যাগ করেছিলেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমানোর সিদ্ধান্তেও তার আপত্তি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো।
৪৫ বছর বয়সী ম্যাকগার্ক কূটনীতিক হিসেবে বেশ অভিজ্ঞ। ওবামা প্রশাসন ২০১৫ সালে তাকে আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে মার্কিন দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।