শনিবার সর্বসম্মতিক্রমে এটি পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিউবার সমাজ-অর্থনীতি উন্মুক্ত হওয়ার বিষয়টি খসড়া সংবিধানে স্থান পেয়েছে।
জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রথম খসড়ায় লক্ষ্য হিসেবে ‘সাম্যবাদের পথে যাত্রা’ অংশ বাদ দেওয়া হলেও সংশোধিত খসড়ায় বর্তমানে প্রচলিত সংবিধানের এ অনুচ্ছেদটুকুও রাখা হয়েছে।
পার্লামেন্টে অনুমোদিত খসড়াটি এখনো সাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির সংবিধানে কোনো সংশোধনী বা পরিবর্তন আনতে চাইলে তা প্রথমে কিউবার পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হয়, এরপর তা নিয়ে গণভোট হয় আর এর মাধ্যমেই দেশটির নাগরিকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান।
স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের খসড়ার পরিবর্তে কিউবার পার্লামেন্ট যে নতুন সংবিধানের খসড়া অনুমোদন করেছে তাতে মোট ২২৯টি ধারা স্থান পেয়েছে। এতে কমিউনিস্ট পার্টিকে দেশের চালিকাশক্তি ও অর্থনীতির মূল প্রভাবকের ভূমিকায় রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কিউবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
সংশোধিত এ খসড়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বিদেশি বিনিয়োগের গুরুত্ব; দ্বার খোলা রাখা হয়েছে সমলিঙ্গের বিয়ের ক্ষেত্রেও। প্রেসিডেন্টের বয়স ও মেয়াদের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন করে প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি এবং তার দায়িত্বও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
এ খসড়া সংবিধানে নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি রাখারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম খসড়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে সংশোধনীতে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে বাধ্যতামূলক সরকারি নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
সংবিধান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জুলাইয়ে প্রথম খসড়াটি প্রকাশ করা হয়। ওই খসড়ার ওপর তিনমাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে আলোচনার পর পাঠানো হয় সংশোধনী। এরপর সেসব সংশোধনী যাচাই বাছাইয়ের পর তোলা হয় পার্লামেন্টে।
শনিবার পার্লামেন্ট সংশোধিত খসড়াটি গণভোটে পাঠানোর জন্য অনুমোদন দেয়। আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত এ খসড়া নিয়ে গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে।