শুক্রবার জিএমটি রাত ১০টার দিকে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় সাসেক্স পুলিশ।
গত বুধবার রাতে গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে একটি ড্রোন উড়তে দেখে কর্তৃপক্ষ প্রথমে ৪৫ মিনিটের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল।
বিমান চলাচল শুরু করার পর আবারও ড্রোনটি দেখা গেলে রানওয়ে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বড়দিনের মৌসুমে এ কাণ্ডে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়ে যায়।
বিবিসি জানায়, এ ঘটনাকে পুলিশ ‘অপরাধমূলক কাজে ড্রোনের ব্যবহার’ হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জনগণের কাছে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার অনুরোধও করেছে।
বিমানবন্দরে আটকা পড়া লাখো যাত্রীর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকালে সীমিত আকারে ফ্লাইট চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জিএমটি বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে আবারও ড্রোনটি দেখা যাওয়ার নিশ্চিত খবর পাওয়ার পর স্বল্প সময়ের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার নাগাদ বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে যাদের ফ্লাইটের টিকেট কাটা আছে তাদের বিমানবন্দরে রওয়ানা হওয়ার আগে খোঁজ খবর নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
‘আর কোনো ড্রোন আছে কিনা’ তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ এখনও গ্যাটউইক বিমানবন্দরে অবস্থান করছে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক জেমস কলিস। তিনি যাত্রী এবং বিমানবন্দরের আশেপাশে বসবাসকারীদের সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সব কিছু বিবেচনায় রেখে তদন্ত চালিয়ে যাব।”