দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রেস মুগাবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জিম্বাবুয়ের সাবেক ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গতবছর এক নারী মডেলকে মারধরের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2018, 04:07 PM
Updated : 19 Dec 2018, 04:07 PM

বিবিসি জানায়, আদালত গ্রেস মুগাবের কূটনৈতিক সুরক্ষা বাতিল করার পর দক্ষিণ আফ্রিকা এ পরোয়ানা জারি করল। গ্রেসকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলেরও সাহায্য চাইছে পুলিশ।

২০১৭ সালের অগাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী মডেল গেব্রিয়েলা অ্যাঞ্জেল পুলিশের কাছে গ্রেসের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তরুণীর অভিযোগ ছিল, জোহানেসবার্গের কাছে একটি হোটেলে গ্রেস তাকে তার দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ গ্রেসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও তিনি হাজির হননি। পরে পুলিশ তাকে ধরতে সীমান্তে ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছিল। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন গ্রেস।

 আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের এক সম্মেলনে যোগ দিতে জিম্বাবুয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ওই সময় সস্ত্রীক দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন।

নির্যাতনের অভিযোগ থাকার পরও গ্রেস পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় ওইসময় দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের কড়া সমালোচনা হয়।

পরে জানা যায়, পুলিশ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেসের ‘কূটনৈতিক সুরক্ষা’ অুনমোদন করেছিলেন।  যে কারণে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়তে পেরেছিলেন।

জিম্বাবুয়েতে ফিরে গ্রেস মুগাবের দাবি ছিল, অ্যাঞ্জেল তাকে আক্রমণ করলে ‘আত্মরক্ষা করতে’ তিনি তাকে আঘাত করেন।

মডেল অ্যাঞ্জেলের পক্ষে ‘লবি গ্রুপ আফ্রিফোরাম’ নামে একটি সংগঠন আদালতে গ্রেসের ‘কূটনৈতিক সুরক্ষা’ বাতিল করার আবেদন করে। যার ভিত্তিতে গত জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত গ্রেসের ‘কূটনৈতিক সুরক্ষা’ বাতিল করে।

বুধবার দক্ষিণ আফিকা পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, “আমি গত বৃহস্পতিবার গ্রেস মুগাবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছি।” পরোয়ানা কার্যকরে পুলিশ ইন্টারপোলের সাহায্য চায় বলেও জানান তিনি।

তবে কেন পরোয়ানা জারির প্রায় ৭ দিন পর এ খবর প্রকাশ করা হল সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে মুগাবে পরিবার বা জিম্বাবুয়ে কর্তৃপক্ষও এখনো কিছু জানায়নি।

গ্রেসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠার তিন মাসের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে।