গত সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।
কিন্তু এ আদেশের পরও মন্দিরটিতে ঢুকতে বেগ পেতে হচ্ছে নারীদের। বিক্ষুব্ধ হিন্দু ভক্তরা নারীদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। মন্দিরে ঢুকতে প্রথমে বাধার মুখে পড়েছিলেন ওই চার হিজড়াও। পরে তাদেরকে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার পুলিশি পাহারায় চার হিজড়া কালো রঙের শাড়ি পরে মন্দিরে প্রবেশ করে প্রার্থনা করেন। মন্দিরের ভক্তরা তাদের বাধা দেয়নি।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ঐতিহাসিক এই মন্দিরে ঋতুবতী নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উঁচুতে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ৮শ’ বছরের পুরোনো শবরীমালা মন্দিরে পৌঁছনোর পথে ১০ থেকে ৫০ বছরের কোনো নারী আছে কিনা তা তল্লাশি করা হয়।
হিজড়াদের এ দলটি গত রোববার মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
যদিও সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার আগে হিজড়ারা শবরীমালা মন্দিরে প্রবশে করতে পারত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে নিরাপত্তা অজুহাতে পুলিশ হিজড়াদেরও মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিয়ে বলে, যদি তারা পুরুষের পোশাক পরে আসে তবেই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে।
হিজড়া সম্প্রদায় এই পরামর্শ বাতিল করে এবং কেরালা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
হাই কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়। মন্দির কর্তৃপক্ষও জানায়, তাদের এতে কোনো আপত্তি নেই। কারণ হিজড়াদের ঋতুস্রাব হয় না।