চীন আধিপত্য করবে না, কারো কর্তৃত্বও মানবে না: শি জিনপিং

চীন কখনো বিশ্বে প্রভাব বিস্তার বা আধিপত্য করার চেষ্টা নেবে না। আবার অন্য কোনো দেশের কর্তৃত্বও মেনে নেবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একথা বলেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2018, 12:20 PM
Updated : 18 Dec 2018, 12:20 PM

চীনে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন।

চীনের প্রয়াত নেতা দেং জিয়াওপিং চার দশক আগে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন এবং বিশ্বের জন্য চীনের বাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এর বদৌলতেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

রাজধানী বেইজিংয়ে ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’ এর ভাষণে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, “চীন অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রগতি অর্জন করার পরও বিশ্বে কখনো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করবে না। অন্য কোনো দেশকে শোষণ করেও উন্নতি করবে না।” বরং মানবজাতির সার্বজনীন ভবিষ্যতের জন্য চীন যে অনেক অবদান রেখেছে সেগুলোই ভাষণে তুলে ধরেন শি।

চীন তার আপন পথেই অগ্রগতির দিকে এগুবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শক্তিমত্তা যতই বাড়ুক বিশ্বে কারো ওপর চীন প্রভাব বিস্তার করবে না জানিয়ে শি বলেন, “চীনের উন্নয়ন কোনো দেশের জন্যই হুমকি নয়।”

তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ চীনের ওপর কর্তৃত্ব করবে সেটিও তারা মানবে না। চীনের অর্জিত সাফল্যের কারণেই এখন তাদের কী করা উচিত, আর কী করা উচিত না সে ব্যাপারে কেউ আর চীনের মানুষকে উপদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।”

১৯৭৮ সালে চীনা নেতা দেং জিয়াওপিংয়ের শুরু করা অথনৈতিক সংস্কারে দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। তবে বর্তমানে দেশটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে পড়ছে। বাড়ছে ঋণের বোঝা।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিনপিং তার দীর্ঘ ভাষণের বেশিরভাগ সময়ই চীনের অগ্রগতির ফিরিস্তি দিয়েছেন। চীনের সাফল্যেরই জয়গান করেছেন তিনি। তাছাড়া, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখছে বলেও শি জোরগলায় দাবি করেছেন।

সম্প্রতি চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঋণ সহায়তা দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে শি জিনপিং বলছেন, “বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য চীনকে দরকার বিশ্ববাসীর।”