বিনিয়োগকারীদের ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়াসহ অর্থচুরি ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গোল্ডম্যান স্যাক্স মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ সংগ্রহে সাহায্য করেছিল। ওই তহবিলের অর্থ লুটপাট হওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকেই ব্যাংকটির কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত হচ্ছিল।
গোল্ডম্যান স্যাক্সের দুই সাবেক কর্মকর্তা টিম লেইসনার রজার এনজি’র বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি ডলার অর্থচুরি, কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া এবং ওয়ানএমডিবির জন্য বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আছে।
লেইসনার গোল্ডম্যান স্যাক্সের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি এ ব্যাংক ছেড়ে চলে যান। আর রজার এনজি ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত গোল্ডম্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
লেইসনার অর্থপাচারের ষড়যন্ত্র এবং ঘুষবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। কৌসুলিরা বলছেন, গোল্ডম্যানের এই দুই সাবেক কর্মকর্তা ওয়ানএমডিবি’র সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য দুই সাবেক ওয়ানএমডিবি কর্মকর্তা জেসমিন লু এবং ঝো লো এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিলেন।
মালয়েশিয়া ওয়ানএমডিবির এ দুই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়াকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। পরে রাজাকের বিরুদ্ধেই ওই তহবিলের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠে।
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়াসহ অন্তত ছয়টি দেশে এই অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চলছে। ওয়ানএমডিবি থেকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ৬২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তরের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে রাজাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযোগ, ২০১৩ সালে নাজিব বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ওই ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন। গোল্ডম্যান স্যাক্স এ বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করে দেয়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল টমি থমাস।
তবে গোল্ডম্যান স্যাক্স কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ার অভিযোগকে ‘ভুল পথে পরিচালিত’ বর্ণনা করে বলেছে, তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে জোরাল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই মামলা তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা কারার আশ্বাসও তারা দিয়েছে।