ব্রেক্সিট নিয়ে ব্লেয়ারের নিন্দায় টেরিজা মে

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে অভিযোগ করে বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা ‘ক্ষুন্ন’ করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2018, 01:08 PM
Updated : 16 Dec 2018, 01:08 PM

তিনি বলেন, “এ মন্তব্য করে তিনি (ব্লেয়ার) এক সময় যে পদের দায়িত্বে ছিলেন সেটিকেই খাটো করলেন।”

“যুক্তরাজ্যের জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে, এখন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এমপি’দের দায়িত্ব। নতুন করে গণভোট আয়োজনের কথা বলে তারা সেই দায়িত্ব শেষ করতে পারেন না।”

গত সপ্তাহে লন্ডনে এক সাক্ষাৎকারে ব্লেয়ার বলেছিলেন, “যদি অন্য কোনো বিকল্প কাজে না আসে তবে এমপি’দের উচিত হবে নতুন ভোট আয়োজনের পক্ষে সমর্থন দেওয়া।”

বিরোধী লেবার পার্টির এমপি’দের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই পরামর্শ পছন্দ হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে তারা এরই মধ্যে কেবিনেট মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বিবিসি জানায়, গত বৃহস্পতিবার ১০ জন এমপি লিডিংটনের সঙ্গে দেখা করে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেন। সরকারের আর কোনো বিকল্প পরিকল্পনায় তারা সমর্থন দেবেন না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ লেবার নেতা আরেকটি গণভোট আয়োজন নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছেন।

২০১৬ সালে গণভোট আয়োজনের সময় যুক্তরাজ্য সরকার খুব স্পষ্ট করে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়ে জনগণকে চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দিতে বলেছিল। ২৩ জুনের ওই ভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ  এবং বিপক্ষে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে অনেকে ‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য’ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেন মে।

দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন নিয়ে কেবিনেট মন্ত্রী লিডিংটন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও তার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা বিবিসি’কে বলেন, “আবারো গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা লিডিংটনের নেই। তিনি শুধু সব দলের এমপি’দের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছেন। যখন আপনি কোনো ভোটে জিততে চাইবেন তখন পরিস্থিতি বুঝতে এটি বেশ কার্যকর একটি কৌশল।”

গত বৃহস্পতিবার মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা ছিল, যা স্থগিত করা হয়েছে। ‘ভোটে সুনির্দিষ্ট ব্যবধানে খসড়া চুক্তি বাতিল হতে পারে’ এমন আশঙ্কায় ভোট স্থগিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন মে।

ভোট স্থগিতের পর ইইউ নেতাদের ‘বিশেষ অনুরোধ করে’ চুক্তি আরেকটু গ্রহণযোগ্য করতে মে ব্রাসেলসে গেছেন বলে জানায় বিবিসি। ওদিকে, লেবার পার্টি আগামী সপ্তাহেই খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির অনুমোদন নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট আয়োজন করার চেষ্টা করছে।