২০১৬ সালের জুনে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী ইউনিভার্সিটি অব ঘানা’র ক্যাম্পাসে মহাত্মা গান্ধীর ওই ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেছিলেন। তিনি ঘানা সরকারকে ভাস্কর্যটি উপহার দিয়েছিলেন।
তার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিতে অনলাইনে পিটিশন দায়ের করেন।
বিবিসি জানায়, ওই পিটিশনে মহাত্মা গান্ধীকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে আফ্রিকার দেশনায়কদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলা হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ঘানা সরকার ভাস্কর্যটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার গান্ধী ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়া হয় বলে বিবিসিকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণ বিভাগ এজন্য দায়ী।
বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মহাত্ম গান্ধী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা।
ওই সময়ে তিনি একটি চিঠিতে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের ‘কাফির’ বলে বর্ণনা করেন। বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের তাচ্ছিল্য করে ‘কাফির’ বলে সম্বোধন করতো।
এছাড়া তিনি ভারতীয়দেরকে কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় ‘উঁচু স্তরের’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন।
ইউনিভার্সিটি অব ঘানা’র আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নানা আদম আদেই বিবিসিকে বলেন, “তার ভাস্কর্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার অর্থ তিনি যেসব বিষয়ের পক্ষে ছিলেন আমরাও সেগুলো সমর্থন করি। যদি তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে ওইসব কথা বলে থাকেন, তবে আমার মনে হয় তার ভাস্কর্য আমাদের ক্যাম্পাসে রাখা উচিত হবে না।”