কোহেন কে নিয়ে বৃহস্পতিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, “তিনি একজন আইনজীবী। তাই ধরেই নেওয়া যায় তিনি আইন জানেন।” প্রেসিডেন্টকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই কোহেন দোষ স্বীকার করেছেন বলেও ট্রাম্প উল্লেখ করেন।
একাধিক অভিযোগে বুধবার কোহেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউ ইয়র্কের আদালত। এর মধ্যে আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে অর্থ দিয়ে দুই নারীর মুখ বন্ধ করা, রাশিয়ায় প্রস্তাবিত ট্রাম্প টাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে কংগ্রেসকে মিথ্যা বলা এবং কর ফাঁকি দেওয়া। প্রতিটি অপরাধেই দোষ স্বীকার করেছেন কোহেন।
সব অপকর্মের জন্যই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আদালতের বিচারককে কোহেন বলেছেন, ট্রাম্প তাকে আলোর পথে চলার পরিবর্তে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্যটাই ছিল তার দুর্বলতা। আর ট্রাম্পের এসব নোংরা কাজ ধামাচাপা দেওয়াকেও তিনি তার কর্তব্য বলে মনে করেছেন।
এরপরই ট্রাম্প একের পর এক টুইট বার্তায় জোরের সঙ্গেই দাবি করছেন যে, তিনি ভুল কোনো কিছু করেননি। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারের আর্থিক নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে।
ট্রাম্প বলেন, “কোহেনও সম্ভবত ওই নিয়ম ভঙ্গের জন্য দায়ী না। কিন্তু তিনি নিজের জন্য কোনো সুবিধা পেতে দোষ স্বীকার করেছেন।”