প্রবল বিরোধিতা পেরিয়ে টিকে গেলেন মে

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রশ্নে দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের আস্থা ভোটে উৎরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 03:13 AM
Updated : 13 Dec 2018, 03:13 AM

বুধবার রাতে এই ভোটাভুটিতে ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপির সমর্থন পাওয়ায় আগামী এক বছর দলের নেতৃত্বে মেকে আর কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে না।

রায়টার্স লিখেছে, এ যাত্রা টিকে গেলেও দলের ভেতরে আস্থার সঙ্কটের বিষয়টি এই ভোটাভুটিতে স্পষ্ট হয়েছে টেরিজা মের সামনে।

কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে মধ্যে ২০০ জন তার পক্ষে ভোট দিলেও ১১৭ জন জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ব্রিটেনের নেতা হিসেবে তারা আর টেরিজা মেকে সঠিক ব্যক্তি বলে মনে করতে পারছেন না।  

দলে এই আস্থা ভোটে হেরে গেলে টেরিজা মেকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হত, সেই সঙ্গে হারাতে হত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মে। কিন্তু আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে।

ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে।

কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন।

নেতৃত্বের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার পর টেরিজা মে ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “আজ রাতের ভোটাভুটিতে সহকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সহকর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।”

ব্রিটেনের মানুষ যে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দিয়েছে, তার বাস্তবায়ন এবং জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার অঙ্গীকারের কথাও তিনি বলেন।