ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন: মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ম্যাক্রোঁর

কয়েক সপ্তাহ ধরে ছুটির দিনগুলোতে ফ্রান্সজুড়ে সহিংস প্রতিবাদের পর সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধি ও কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 04:43 AM
Updated : 11 Dec 2018, 04:52 AM

জ্বালানি কর বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ইস্যুতে পরপর চারটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে পরিচিতি পাওয়া আন্দোলনকারীদের সহিংস প্রতিবাদ প্রত্যক্ষ করেছে ফ্রান্স।

এ পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ সহিংসতার নিন্দা করলেও ‘প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভ গভীর এবং অনেক দিক থেকেই বৈধ ছিল’ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন, খবর বিবিসির।

অনেক লোক তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসুখী ছিল এবং ‘তাদের কথা শোনা হচ্ছিল না’ বলে তারা অনুভব করছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন ম্যাক্রোঁ। 

আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের ন্যায্যতা স্বীকার করে ২০১৯ সাল থেকে মাস প্রতি সর্বনিম্ন মজুরি ১০০ ইউরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

নিম্ন আয়ের পেনশনভোগীদের কর বাড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করা হবে, ওভারটাইমের মজুরির ওপর কর বসানো হবে না এবং বছর শেষে কর্মচারীদের করমুক্ত বোনাস দেওয়ার বিষয়ে নিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিত্তশালীদের ওপর কর পুনর্বহালের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন; বলেছেন, “এটি আমাদের দুর্বল করবে, আমাদের চাকরি বাড়ানো দরকার।”

সর্বনিম্ন মজুরি সাত শতাংশ বাড়বে এবং এই বৃদ্ধিজনিত খরচ নিয়োগকারীদের বদলে সরকার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মোট আট থেকে ১০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হতে পারে বলে ব্রডকাস্টার বিএফএমটিভিকে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রী অলিভিয়ে ডুসো।

বেঞ্জামিন কুশি নামের এক ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারী ম্যাক্রোঁর এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফ্রান্স টু টিভিকে বলেছেন, “এগুলো অর্ধেক পদক্ষেপ। ম্যাক্রোঁর আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।”  

বিরোধী রাজনীতিকদের মধ্যেও ছিল সমালোচনার সুর।

বামপন্থি নেতা জ লুক মিনোশ জানিয়েছেন, আরও প্রতিবাদ হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। ডানপন্থি রাজনীতিক এরিক ইভোর্থ এসব পদক্ষেপকে ‘স্বল্প-মেয়াদি’ সমাধান বলে অভিহিত করেছেন। চরম ডানপন্থি নেতা ম্যারিন লু পেন বলেছেন, ম্যাক্রোঁ তার কিছু ভুল স্বীকার করলেও সবগুলো করেননি।