ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে) এ রায় দিল।
ইসিজে’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বা আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নির্ধারিত দুই বছর সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত সদস্যভূক্ত দেশগুলো ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে।
“এমনকি যদি দুই বছর সময় শেষ হয়ে যায় এবং তারপরও অতিরিক্ত সময়েও সদস্য দেশ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবে।”
গত সপ্তাহে ইসিজে’র অ্যাডভোকেট জেনারেল বেক্সিট বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকা উচিত বলে মত দিয়েছিলেন। যদিও তার মত মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইসিজে তার মত অনুসরণ করে। সোমবারের রায়েও ইসিজে একই ধারা অব্যাহত রাখল।
ইইউর সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্য এখন যেসব শর্তাবলী মেনে চলছে ওইসব শর্ত মেনেই তারা থেকে যেতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। অর্থাৎ, দেশটিকে ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো গ্রহণ বা ভিসামুক্ত অঞ্চল শেনজেনে অন্তর্ভূক্ত হতে বাধ্য করা হবে না।
তবে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে অবশ্যই তাদের নিজ দেশের ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ’ করতে হবে। অর্থাৎ, ইইউতে থেকে যেতে হলে যুক্তরাজ্য সরকারকে পার্লামেন্টের অনুমতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার রাতে পার্লামেন্টে মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির উপর ভোট হওয়ার কথা। তবে মে এ ভোট পিছাতে পারেন বলে খবর শোনা যাচ্ছে।
যদিও মে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছেন, হয় তার চুক্তিতে ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদ হবে অথবা কোনো চুক্তি ছাড়াই বিচ্ছেদ হবে। তিনি ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে ইউরোপীয় আদালত ইসিজে জানায়, ‘এমপি’দের সামনে বিকল্প কী সুযোগ আছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতেই’ এ রায় দেওয়া হয়েছে।
ব্রেক্সিট বিরোধীদের আশা, এর মাধ্যমে চলমান বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনে দ্বিতীয় গণভোটের আয়োজন হবে।