স্টকহোমের বাইরে জোহানেসবার্গ প্রাসাদে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সপ্তাহখানেকের এ আলোচনায় যোগ দিতে সৌদি আরব সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের প্রতিনিধিদল বুধবার সুইডেনে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আগের দিন জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথ ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদেরকে স্টকহোম নিয়ে আসেন।
সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উৎখাত করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ হুতিরা নিয়ন্ত্রণে নিলে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে দেশটিতে রক্তক্ষয়ী এ গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়।
প্রাণভয়ে হাদি দেশ ছেড়ে পালান। পরের দিকে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটও। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হোদেইদাহ বন্দর ঘিরে হুতি ও হাদি সমর্থকদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধও চলছে।
যুদ্ধে এরই মধ্যে কয়েক হাজার বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫০ হাজার। যুদ্ধ লাখ লাখ ইয়েমেনিকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বলেও সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা।
সৌদি জোট অবরোধ দেওয়ায় দেশটিতে ত্রাণ পাঠানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।
হুতি বিদ্রোহী ও হাদি সমর্থকদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল লড়াই চললেও জাতিসংঘের শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে দুই পক্ষই এখন ‘আপাত যুদ্ধবিরতিতে’ আছে।
২০১৬ সালে দুই পক্ষের মধ্যে শেষ শান্তি আলোচনা হয়েছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেও নতুন আরেকটি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও হুতি প্রতিনিধিরা উপস্থিত না হওয়ায় ওই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
মধ্যস্থতাকারীদের আশা, সুইডেনে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় দুই পক্ষই হোদেইদাহ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাবে। লোহিত সাগরের এই বন্দরটির কাছে এখনো কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে।
ইয়েমেনের রাজনৈতিক সমাধানের কাঠামো কী হবে তা নিয়ে হুতি ও হাদি সমর্থকদের দূরত্ব ঘুচবে বলেও প্রত্যাশা জাতিসংঘের।