ইয়েমেন শান্তি আলোচনা শুরু, বন্দি বিনিময় চুক্তি সই

ইয়েমেনে প্রায় চারবছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের লক্ষ্য নিয়ে সুইডেনে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা। সংঘাতে লিপ্ত দু’পক্ষ বন্দিবিনিময় চুক্তিও সই করেছে বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বিশেষ জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথ।

>>রয়টার্স
Published : 6 Dec 2018, 12:12 PM
Updated : 6 Dec 2018, 06:46 PM

দু’বছরের মধ্যে প্রথম এ শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন। দু’পক্ষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা এক সপ্তাহ স্থায়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রিফিথের টীম।

মানব বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা ইয়েমেনে যুদ্ধাবসানে কয়েকবছরের মধ্যে শান্তি আলোচনার এ সূচনাকে আশার আলো বলে অভিহিত করেছেন গ্রিফিথ।সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে পারাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আখ্যা দেন তিনি।

শান্তি আলোচনা এমন সময় হচ্ছে, যখন ইয়েমেনবাসী ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব মিত্রদের নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এ পর্যন্ত দেশটিতে বহু শিশুসহ লাখো মানুষ নিহত হয়েছে। সংঘাত বন্ধে গত কয়েক মাস ধরে একটি শান্তি আলোচনার চেষ্টা করে আসছে জাতিসংঘ।

কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে কোনো আলোচনাই হয়নি। জেনেভায় গত সেপ্টেম্বরে আলোচনার সর্বশেষ একটি চেষ্টাও হুতিদের অনুপস্থিতির কারণে ব্যর্থ হয়। এবারের আলোচনায় দু’পক্ষের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসাবে বন্দিবিনিময় চুক্তি সই হওয়াকে একটি ইতিবাচক লক্ষণ বলেই বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ দূত গ্রিফিথ।

এ চুক্তির আওতায় কতজন বন্দি মুক্তি পাবে সে সংখ্যা সঠিকভাবে জানাতে না পারলেও গ্রিফিথ বলেছেন, এ পদক্ষেপে হাজার হাজার পরিবার উপকৃত হবে।

সংবাদদাতারা বলছেন, প্রথমদফা এ আলোচনার মূল লক্ষ্য বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত লোহিত সাগরের হোদায়দা বন্দরে পুরোদস্তুর লড়াই বন্ধ করা। যেখানে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে।

তাছাড়া, ইয়েমেনে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধানটি কেমন হবে সে সম্পর্কিত আলোচনার একটি ফ্রেমওয়ার্ক বৃহস্পতিবারের আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার আশা করছে জাতিসংঘ। গ্রিফিথ বলেন, “আগামী দিনগুলোতে আমরা শান্তি প্রক্রিয়ায় গতিসঞ্চারের বড় ধরনের সুযোগ পাব।”

আলোচনায় বসেছে ইয়েমেনের সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সমর্থিত সরকার এবং ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শুরু করেছেন জাতিসংঘ দূত। কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকটি ওয়ার্কিং গ্রুপের মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলবে।

কয়েকটি বিষয় নিয়ে দুপক্ষ একসঙ্গে আলোচনা করবে। আর অন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে তারা আলাদা আলাদা গ্রুপে আলোচনা করবে। বিবিসি’কে একথা জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।