দুই ডলারের ‘ইয়োগার্ট’ চোর ধরতে ৫০০ ডলারের ডিএনএ পরীক্ষা

তাইওয়ানে এক নারীর দুই ডলার দামের এক বোতল ‘ইয়োগার্ট’ কে খেয়েছে, তা বের করতে ৫০০ ডলারের বেশি খরচ করে পাঁচজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2018, 04:13 PM
Updated : 5 Dec 2018, 04:17 PM

ব্যয়বহুল টেস্টে একই বাসায় বসবাসরত ওই পাঁচ নারীর মধ্যে চোর শনাক্ত হলেও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্য দিয়ে জনগণের করের টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

তাইওয়ানের সম্প্রচারমাধ্য টিভিবিএসের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে এক শিক্ষার্থী নিবাসে ছয়জন মেয়ে থাকেন। তারা পড়ছেন চাইনিজ কালচার ইউনিভার্সিটিতে।

এদেরই একজন খেয়াল করেন, কেউ তার ইয়োগার্ট (দই জাতীয়) পানীয় শেষ করে বোতলটি ঝুড়িতে ফেলে রেখেছেন।

না জানিয়ে এই কাজ করায় বোতলটি ঝুড়ি থেকে বের করে বাইরে রাখেন তার মালিক শিক্ষার্থী। এই কাজ করেছে সে যেন নিজেই সামনে এসে স্বীকার করে বলে অন্য পাঁচজনকে বলেন তিনি। 

দেড়-দুই ডলার সমমূল্যের এমনই এক বোতল ইয়োগার্ট খেয়ে ফেলেছিলেন মেসের কেউ, তার জন্য ৫৮৬ ডলার ব্যয়ের টেস্ট করা হল।

এতে কেউ সাড়া না দেওয়ায় বোতলটি নিয়ে থানায় চলে যান ওই নারী।

ইয়োগার্ট পানীয় চুরির নালিশ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে ইয়োগার্টের বোতলটি ভেজা থাকায় তার থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।

এতে দমে না গিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে চোর ধরতে পুলিশকে অনুরোধ করেন অভিযোগকারী।

হোস্টেলের পাঁচজন সন্দেহভাজনসহ ওই নারীরও ফরেনসিক পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে, চুরি করে ইয়োগার্ট খেয়েছেন কে।

এই ডিএনএ পরীক্ষায় পুরো অর্থ (৫৮৬ ডলার) ব্যয় হয়েছে সরকারি তহবিল থেকে।

এর সমালোচনা করে তাইপের বাসিন্দা লিউ স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেন, “এটা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। আমি পুলিশ কর্মকর্তা হলে ওই নারীকে বড়জোর আরেকটি পানীয়ের বোতল কিনে দিতাম।”

পরিচয় গোপন রেখে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “পাখি মারতে কামান দাগা, এটা নীতিগতভাবে ঠিক নয়।”