২৪ বছর বয়সী ম্যাডস নর্ডসভিনের ওই ছবিতে এরই মধ্যে ২০ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অসলোর এ আলোকচিত্রী বলছেন, উত্তর নরওয়ের পাহাড়ি রাস্তায় তুষারের মধ্যে হাঁটতে গিয়েই ‘ছোট, সুন্দর প্রাণীটির’ সঙ্গে দেখা হয় তার।
সোমবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিটিতে শ্বেত বল্গাহরিণটির গায়ের রংয়ের সঙ্গে বিস্তৃর্ণ অঞ্চলজুড়ে থাকা তুষারের অদ্ভূত সাদূশ্যও দেখা গেছে।
কাছ থেকে না দেখলে প্রাণীটির সঙ্গে তুষারকে আলাদা করাও বেশ কষ্টসাধ্য হবে।
পোস্টের সঙ্গে দেওয়া মন্তব্যে নর্ডসভিনও বলেছেন, “তুষারে এটি প্রায় অদৃশ্যই হয়ে গেছে।”
বার্তা সংস্থা ক্যাটারসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আলোকচিত্রী জানান, দেখা হওয়ার মুহুর্তে হরিণ শাবকটির স্থির ভাবভঙ্গি তাকে অভিভূত করেছে।
“এটি আমার খুব কাছে চলে আসে, আমরা একে অপরের চোখের দিকে তাকাই। আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই এটি বুঝতে পেরেই সম্ভবত সেটি খুবই শান্ত আচরণ করেছিল। ছবি তোলার সময়ও এমন করেছে, মনে হচ্ছে যেন পোজ দিচ্ছে। শাবকটি ছিল উৎসুক, মজার। অনেকটা ক্ষুদে অনুসন্ধানকারীর মতো।”
বিরল প্রজাতির ওই হরিণটি পরে তাকে ও তার বন্ধুদের ছেড়ে জঙ্গলের ধারে মায়ের কাছে ফিরে যায়। নর্ডসভিন এ ঘটনাকে ‘ঐন্দ্রজালিক’ ও ‘রূপকথার মুহুর্ত’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
২০১৬ সালে সর্বশেষ উত্তর সুইডেনের মালায় বিরল এ শ্বেত বল্গাহরিণের দেখা মিলেছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন, তুষারশুভ্র গায়ের রংয়ের পেছনে মেলানিনের ঘাটতি নয়, দায়ী প্রাণীটির পশম থেকে নির্গত হওয়া এক ধরনের রঞ্জক।
বংশগত এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই শিকারিদের চোখে সহজে ধুলোও দিতে পারে বরফাঞ্চলে বিচরণ করতে অভ্যস্ত এ প্রজাতির হরিণরা।
স্ক্যান্ডেনেভিয়ান উপকথায় শ্বেত বল্গাহরিণকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়।