এ বিষয়ে আগের চেয়েও বেশি নিশ্চিত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক জিনা হাস্পেলের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, “এই কাজটি এমবিএসের (মোহাম্মদ বিন সালমান) কমান্ড ও তার অধীনে থাকা লোকজনের পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছে, এই সিদ্ধান্তে না আসার জন্য আপনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্ধ হয়ে থাকতে হবে।”
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের নিন্দা করতে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হয়তো অভিযুক্ত করার মতো কোনো ‘ধূমায়িত বন্দুক’ সেখানে ছিল না কিন্তু ‘ধূমায়িত করাত’ তো ছিল।
এ মন্তব্যের মাধ্যমে গ্রাহাম একটি হাড় কাটার করাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেটি খাশুগজির মৃতদেহ টুকরা টুকরা করতে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এ পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে কঠোর কিছু অভিযোগ তুলে ধরে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট, উভয় দলের সিনেটরা জানিয়েছেন, তারা এখনো এমন একটি প্রস্তাব পাস করতে চান যাতে ‘যুক্তরাষ্ট্র খাশুগজি হত্যার নিন্দা করে’ সৌদি আরবকে একটি বার্তা দিতে পারে।
কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে তা নিয়ে পরিষ্কারভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
অনেক ডেমোক্রেট চান কোনো সংশোধনী ছাড়াই ইয়েমেনে সৌদি জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন বন্ধ করার জন্য ‘ওয়ার পাওয়ার রেজোলুশনের’ অধীনে কংগ্রেসের উচ্চ অথবা নিম্ন কক্ষের সরাসরি ভোট।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার অনুগামী কিছু রিপাবলিকান বলেছেন, ওয়াশিংটনের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না যা রিয়াদের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
মিত্র সৌদি আরবকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সমতুল্য বিরোধী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র।
রিপাবলিকান সিনেটর রিচার্ড শেলবি বলেছেন, “কাউকে শাস্তি দেওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও তার দলকে ওই দেশ থেকে কীভাবে আলাদা করবেন আপনি?”