জিন থেকে রোগ মুছে শিশুর জন্ম: সাফাই দিলেন চীনা বিজ্ঞানী

মানব ভ্রুণে এইডস আক্রান্ত জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্বে প্রথম জমজ দুই শিশু কন্যার জন্ম দেওয়ার দাবি করা চীনের বিজ্ঞানী হে জিয়াংকুই জিন সম্পাদনার পক্ষে  যুক্তি দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2018, 12:34 PM
Updated : 28 Nov 2018, 12:34 PM

চীনের শেনঝেনে ‘সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি’র বিজ্ঞানী জিয়াংকুই গত সোমবার প্রথম জিন-সম্পাদিত শিশু জন্ম দিতে সফল হওয়ার দাবি করার পর ব্যাপক নিন্দা-সমালোচনার মুখে এ সাফাই দিলেন।

হংকংয়ের একটি জিনোম সম্মেলনে প্রফেসর জিয়াংকুই বলেন, শিশু দুটি যাতে তাদের বাবা-মা’য়ের কাছ থেকে এইডস রোগে আক্রান্ত না হতে পারে সে কারণেই তিনি মায়ের গর্ভেই তাদের জিন সম্পাদনা করেছেন এবং একাজ করে তিনি গর্বিত।

বিবিসি জানায়, জিয়াংকুই এ সপ্তাহে তার জিন-সম্পাদনার কথা ঘোষণা করলেও এ দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। অনেক বিজ্ঞানীই তার  এঘোষণার নিন্দা জানিয়েছেন।

একজন বিজ্ঞানী একে ‘ভয়ঙ্কর’ ব্যাপার বলে অভিহিত করেন। এভাবে শিশুর জিন পাল্টানো বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিষিদ্ধ। কারণ, ডিএনএ তে পরিবর্তন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে এর প্রভাব পড়তে পারে এবং এতে অন্য জিনগুলোর ক্ষতি হওয়ারও ঝুঁকি আছে। মূল ধারার বিজ্ঞানীরাও জিন-সম্পাদনার চেষ্টা করাকে অনিরাপদ বলে মনে করেন।

হে জিয়াংকুইয়ের বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা এ অধ্যাপকের গবেষণা সম্পর্কে অবগত ছিল না। এ বিষয়ে তারা তদন্ত শুরু করবে। প্রফেসর জিয়াংকুই নিজেও বলেছেন তার বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে কিছু জানত না। তিনি নিজেই এ গবেষণার খরচ বহন করেছেন।

এ গবেষণা নিয়ে হৈচৈ শুরু হওয়ার পর বুধবার প্রথম জনসমক্ষে বক্তৃতা দেন জিয়াংকুই। ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ে হিউম্যান জিনোম এডিটিং সম্মেলনে তিনি বুধবার বক্তব্য রাখেন।

জিয়াংকুই জানান, জমজ মেয়ে লুলু ও নানা সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিয়েছে। আগামী ১৮ বছর ধরে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা আছে।

এইডস আক্রান্ত আট দম্পতি স্বেচ্ছায় জিন পরিবর্তনের এ গবেষণায় নাম লেখায় এবং পরে একটি জুটি গবেষণা থেকে বেরিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।