অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ভারতে ‘# মি টু’ আন্দোলনের জেরে এবার বলিউড অভিনেতা অলোকনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2018, 01:36 PM
Updated : 21 Nov 2018, 02:37 PM

ভারতীয় চিত্রনাট্য লেখিকা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক বিনতা নন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অশিওয়ারা পুলিশ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অলোকনাথের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

‘# মি টু’ আন্দোলনের জোয়ারে ভারতে কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠা যে অল্পসংখ্যক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশী মামলা হয়েছে অলোকনাথ তাদেরই একজন।

গত ১৭ অক্টোবরে ফেইসবুকে এক পোস্টে জনপ্রিয় অভিনেতা অলোকের কাছে ১৯ বছর আগে যৌন হেনেস্তা ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন বিনতা নন্দা। এর পর আরো দুই অভিনেত্রীও অলোক নাথের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।

কিন্তু অলোক নাথ সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন। তিনি বিনতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন এবং প্রকাশ্যে তার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনাসহ প্রতীকী ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।

৯০ এর দশকে ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘তারা’ তে একসঙ্গে কাজ করেন বিনতা ও অলোক। ওই সিরিয়ালের প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেত্রীকেও অলোক যৌন হেনেস্তা করেছেন বলে দাবি বিনতার।

ভারতে সম্প্রতি ‘মি টু’ আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক রথি-মহারথির নামে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

গত সেপ্টেম্বরে এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত ১৮ বছর আগে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়ন নিয়ে মুখ খুলে বলিউডকে রীতিমত কাঁপিয়ে দেন। তার অভিযোগ শক্তিমান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে।

২০০০ সালে একটি সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে তিনি নানা পাটেকারের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে জানান। যে কারণে তিনি অভিনয় জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন বলে দাবি করেন।

প্রায় ১০ বছরের অন্তরাল ভেঙে বেরিয়ে এসে তনুশ্রী যে আন্দোলনের সূচনা ভারতে করেছিলেন তা এখন বিস্ফোরক রূপ নিয়েছে। একের পর এক নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনেস্তার শিকার হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন।

এই জোয়ারে উঠে আসা সবচেয়ে বড় নাম ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর, যিনি এক সময় অত্যন্ত প্রভাবশালী সাংবাদিক ছিলেন। তার অধিনে কাজ করা একাধিক নারী সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনেস্তার অভিযোগ এনেছেন।

যদিও অন্যদের মত আকবরও তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।