অ্যাকোস্টার অনুমতিপত্র ফিরিয়ে দিতে ওয়াশিংটন ডিসির এক বিচারকের আদেশের দিন কয়েকের মধ্যে হোয়াইট হাউস তার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল।
সোমবার হোয়াইট হাউস সাংবাদিক প্রতি একটি করে প্রশ্ন করার বিধান রেখে ‘ভবিষ্যৎ সংবাদ সম্মেলন পরিচালনার নিয়ম’ও জারি করেছে বলে খবর বিবিসির।
কোনো সাংবাদিক সম্পূরক প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন কিনা তা ‘প্রেসিডেন্ট বা (সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া) হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বিবেচনার ওপর’ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অ্যাকোস্টাকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছে তারা।
হোয়াইট হাউস বলছে, অনুমতিপত্র ফিরে পাওয়া সাংবাদিক নতুন নিয়মকানুন না মানলে তার বিরুদ্ধে ফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সাংবাদিকরা ‘অনুষ্ঠানের নিয়মশৃঙ্খলা’ মেনে না চললে ভবিষ্যতের সংবাদ সম্মেলনগুলো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
অনুমতিপত্র ফিরে পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার অ্যাকোস্টা বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মুখিয়ে আছেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয় আরেকটি প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন অ্যাকোস্টা, তখন হোয়াইট হাউসের এক কর্মী সদস্য দ্রুত এগিয়ে এসে অ্যাকোস্টার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অ্যাকোস্টার বাধায় ওই নারী কর্মী মাইক্রোফোনটি নিতে না পেরে পাশেই বসে পড়েন, গণমাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতে এমনটিই দেখা গেছে।
এ সময় ট্রাম্প অ্যাকোস্টাকে ‘অভদ্র, ভয়ানক ব্যক্তি’ অ্যাখ্যা দেন।
সিএনএনের এ সাংবাদিককে পরে বসে পড়তে ও মাইক্রোফোন নামিয়ে রাখতেও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ঘটনার পরদিন অ্যাকোস্টা হোয়াইট হাউসে ঢুকতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়; পরে তার অনুমতিপত্র স্থগিত করার কথাও জানানো হয়। ওই অনুমতিপত্র ফিরিয়ে দিতে আদালতে মামলা ঠুকে দেয় সিএনএন, অন্যান্য গণমাধ্যমও এতে সমর্থন জানা যায়। সিএনএনের পাশে এসে দাঁড়ায় রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজও।
শুক্রবারের প্রাথমিক আদেশে ওয়াশিংটন ডিসি আদালতের বিচারক বলেন, প্রশাসন অ্যাকোস্টার অনুমতিপত্র স্থগিতের যথাযথ কারণ দেখাতে পারেনি।
নিয়মমাফিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাকোস্টার অধিকার, তার অনুমতিপত্র কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের অধিকারের তুলনায় বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।