আমাকে সরিয়ে ব্রেক্সিটে কোনো ফায়দা হবে না: মে

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে সমালোচকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিলেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে না। বরং এতে আরো বিলম্ব হতে পারে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2018, 04:17 PM
Updated : 18 Nov 2018, 04:53 PM

গত বুধবার মে ইউরোপীয় ইইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) খসড়া চুক্তি ঘোষণা করেন এবং মন্ত্রিসভায় তা অনুমোদনও পায়। কিন্তু কয়েকঘণ্টা পরই পরিস্থিতি উল্টে যায়। ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিবাদে একের পর এক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করতে থাকেন।

মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে অসন্তোষের কারণে এমপি’দের নতুন নেতৃত্বের দাবি জোরালো হতে থাকে। এরপরও মে নিজ অবস্থানে অনড় থেকে চুক্তিটির পক্ষ সমর্থন করে বলেন, এর আর কোনো বিকল্প নেই।

রোববার স্কাই নিউজে এক সাক্ষাৎকারে মে বলেন, আগামী সপ্তাহটি যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই তিনি এ থেকে বিচ্যুত হতে চান না। তাছাড়া, ইইউ-যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক প্রশ্নে আলোচনায় অগ্রগতি টোরি এমপি’দের বিদ্রোহও জয় করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে তাকে টেনে নামানোর জন্য যারা উঠেপড়ে লেগেছেন তাদেরকে সতর্ক করে মে বলেন, “এতে ব্রেক্সিটে কোনো ফায়দা হবে না। ব্রেক্সিট আলোচনা সহজ হয়ে যাবে না, আর পার্লামেন্টের হিসাব-নিকাশেও কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। বরং উল্টো আলোচনায় বিলম্ব ঘটা এবং ব্রেক্সিট পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কিংবা হাতাশা দেখা দিতে পারে।”

২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। ইইউ এরই মধ্যে সতরক করে বলেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে খসড়া চুক্তি হলেও বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেক কাজ বাকি।

বেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য ইইউ বেশ কয়েকটি বৈঠকের দিন নির্ধারণ করেছে। এরই একটি হতে পারে আগামী ২৫ নভেম্বর। ওই বৈঠকে ব্রেক্সিট চুক্তিটি অনুমোদন করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

তার আগেই মে খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্টের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের দাবি, তার দল যথা সময়ের মধ্যেই ব্রেক্সিট নিয়ে মে’র চেয়ে ভালো চুক্তি করতে সক্ষম হত।

ওদিকে, স্কাই নিউজের সাক্ষাৎকারে মে বলেছেন, “রাজনীতি খুব কঠিন কাজ এবং আমি দীর্ঘদিন ধরে এর মধ্যে আছি। আগামী ৭ টি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

এরই মধ্যে মে’র নেতৃত্বে এমপি’রা যে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন, তাতে কনজারভেটিভ পার্টির নিয়মানুযায়ী, দলের ‘ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটি’র কাছে ৪৮ জন এমপি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি পাঠালেই আস্থা ভোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে।

কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডির কাছে ৪৮টি চিঠি পৌঁছেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মে বলেন, “আমি যতদূর জানি, না—এটা হবে না।”