যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধে বিবৃতি ছাড়াই শেষ এপেক সম্মেলন

বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন মতবিরোধে শেষ পর্যন্ত নেতাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলন। এবারই প্রথম বিবৃতি ছাড়া শেষ হল সম্মেলনটি।

>>রয়টার্স
Published : 18 Nov 2018, 02:25 PM
Updated : 18 Nov 2018, 03:10 PM

পাপুয়া নিউ গিনিতে রোববারের এপেক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে ঘোর মতবিরোধের কারণে কোনো ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে পারেননি নেতারা।

পরে সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নিল বলেন, ‘সম্মেলনে অংশ নেওয়া বড় দুই দেশ’ সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। তবে এপেকের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

১৯৯৩ সালের এপেক দেশগুলোর প্রথম সম্মেলন থেকে শুরু করে প্রতিবছরই নেতাদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়ে আসছে। এবারই তার ব্যতিক্রম দেখা গেল।

বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্প্রতি যে বিরোধ চলছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এবারের এপেক সম্মেলনে। মূলত কি নিয়ে দু’য়ের মধ্যে মতবিরোধ ছিল সে প্রশ্নের জবাবে ও’নিল বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং এ অর্গানাইজেশনের সংস্কার নিয়ে মতৈক্য হয়নি।

তাছাড়া, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতাটাও এবার সবার সামনে এসেছে। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি নৌ ঘাঁটি স্থাপনে অস্ট্রেলিয়ায় চেষ্টায় যোগ দেবে তারা। যা দৃশ্যত চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব হ্রাসেরই চেষ্টা।

এর আগে শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের ‘আমেরিকা সর্বাগ্রে’ নীতির সমালোচনা করেন। যেসব দেশ সংরক্ষণবাদী নীতি নিয়েছে তারা ‘ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। তিনি চীনা আমদানি পণ্যের ওপর  দ্বিগুণেরও বেশি শুল্কারোপ করতে প্রস্তুত বলেও হুমকি দেন।

চীনের ‘বেল্ট এন্ড রোড’ প্রকল্প নিয়েও তিনি সমালোচনা করেন। চীনের পরিবর্তে বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার জন্য অন্যান্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান পেন্স।