প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগে বেকায়দায় নেতানিয়াহু

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কারণে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক একটি দলের সমর্থন প্রত্যাহারের পর বেকায়দায় পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2018, 10:47 AM
Updated : 18 Nov 2018, 10:54 AM

আগাম নির্বাচন ঠেকাতে সরকারের অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছেন লিকুদ পার্টির এ শীর্ষ নেতা।

রোববার জোট সরকারের আরেক শরিক দল কুলানু পার্টির নেতা অর্থমন্ত্রী মোশে কালনের সঙ্গেও নেতানিয়াহুর বৈঠকের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নির্বাচন ঠেকাতে একে নেতানিয়াহুর শেষচেষ্টা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

তিনদিনের সংঘর্ষের পর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জেরে বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আভিগদর লিবেরমেনের পদত্যাগের পরই লিকুদ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে বিবাদ ‍শুরু হয়।

লিবেরমেনের পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তার দল ইসরায়েল বেইতেনুও ক্ষমতাসীনদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। যা ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান নিয়ে আনে ১ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায়।

জোটের ঐক্য ঠিক রাখতে নেতানিয়াহু শুক্রবার শরিকদল হাবাইয়িত হায়েহুদির নেতা নাফতালি বেনেতের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেনেত সেখানে নিজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চেয়ে বসলে আলোচনা ভেস্তে যায়। 

হাবাইয়িত হায়েহুদির এ নেতা পরে তাকে মন্ত্রী না বানালে তার দলও ক্ষমতাসীন জোট ছাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হতে পারলে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করারও প্রতিশ্রুতি আছে বেনেতের।

“যাতে ইসরায়েল আবারও জিততে শুরু করবে,” বলেছেন তিনি।

বেনেত এর মধ্যেই আগাম নির্বাচন দিতে আহ্বান জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু তাতে কান দেননি। কালনও নতুন নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এ দুজন তাদের দল নিয়ে সরে গেলে নেতানিয়াহুকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের পথেই হাঁটতে হবে, অনুমান বিশ্লেষকদের।

দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ ঘিরে এমনিতেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে; নির্বাচন হলে তা তাকে আরও সমস্যায় ফেলতে পারে বলেও ধারণা অনেকের।

ইসরায়েলিদের মধ্যে নেতানিয়াহু ও লিকুদ পার্টির জনপ্রিয়তা এখনও বেশি বলে বেশ কয়েকটি জরিপের বরাত দিয়ে বলছে বিবিসি। কিন্তু আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু থাকায় দেশটিতে একক কোনো দলের পক্ষে সরকার গঠন বেশ কঠিন।

নেতানিয়াহু এ নিয়ে চারটি নির্বাচনে জিতেছেন। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে তিনি ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়নকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশিদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার গৌরব অর্জন করবেন।