২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর পাতাগোনীয় উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক সাগরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শেষবার সঙ্কেত পাঠিয়েছিল ডুবোজাহাজটি।
ডুবোজাহাজটির ‘স্নরকেল’ দিয়ে পানি ঢুকছে এমন খবর পাওয়ার পর ওই দিন সেটিকে ‘মার দেল প্লাতা’ নৌঘাঁটিতে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় রয়টার্স। ওই সময় ডুবোজাহাজটিতে সাত দিন চলার মতো অক্সিজেন ছিল।
নিখোঁজ হওয়ার পর দুই সপ্তাহ ধরে আর্জেন্টিনার নৌবাহিনী সাগরের তলদেশে সেটির অনুসন্ধান চালায়। সে সময় ডুবজাহাজটি থেকে স্যাটেলাইট সংকেত পাওয়ার কথাও জানিয়েছিল তারা।
কিন্তু দুই সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেটির আর কোনো খোঁজ পেতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ক্রুদের বেঁচে থাকার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ায় নৌবাহিনী অনুসন্ধান কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এক টুইটে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে পানির দুই হাজার ৬২০ ফুট তলদেশে ডুবজাহাজটির সন্ধান পাওয়ার খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি ডুবোজাহাজটিকে ইতিবাচকভাবে সনাক্ত করেছে বলে ওই টুইটে জানানো হয়।
তার আগে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সাগরের তলদেশে ৬০ মিটার লম্বা একটি বস্তু পড়ে থাকার ছবি প্রকাশ করে বলেছিল, এটি নিখোঁজ ডুবোজাহজ এআরএ সান হুয়ান হতে পারে।