ইয়াঙ্গুনে সন্দেহভাজন ১০৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমার

মিয়ানমারের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ইয়াঙ্গুন উপকূলে একটি নৌকা থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে ১০৬ জনকে আটক করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 16 Nov 2018, 01:41 PM
Updated : 16 Nov 2018, 02:46 PM

ইয়াঙ্গুন শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে শুক্রবার সকালে ওই নৌকা থামানো হয়। নৌকাটি মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা কায়াও হাতয়।

তিনি বলেন, “আগের কয়েক বছরের মতোই খুব সম্ভবত তারা রাখাইনে সিত্তুয়ে শহরের বাইরের বাস্তুচ্যুতদের শিবিরগুলো থেকে এসেছে। তাদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর নৌকাটিকে থামানো হয়।”

২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর থেকে সিত্তুয়ের বাইরের এলাকার শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে লাখো রোহিঙ্গা। আর গতবছর রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনীর নির্মম দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে জাতিসংঘের হিসাবমতে, বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

ইয়াঙ্গুনে আটক নৌকাটিতে নারী, পুরুষ ও শিশুও আছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র সদস্য আয়ে মিয়া মিয়া মিও ফেইসবুকে নৌকার ছবি দিয়েছেন। তিনি জানান, নৌকায় ৫০ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ২৫ জন শিশু রয়েছে।

তারা সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে ২০১৫ সালের পর আবার সাগরপথে ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের ঢলের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে হাজারো রোহিঙ্গা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করে মানব পাচারকারীদের কবলে পড়েছে, নতুবা অতিরিক্ত মানুষ বোঝাই নৌকার কারণে সমুদ্রে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে।