মে বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) খসড়া চুক্তিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সব উল্টে যায়।
বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব। এর এক ঘণ্টা পরই কর্মসংস্থান ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রীর পদত্যাগসহ আরো কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগে মে’র মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে।
মে’র নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া শুরু করেন এমপি’রা। ফলে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে পড়ে মে’কে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে হতে পারে বলে জল্পনা সৃষ্টি হয়।
কিন্তু সব জল্পনা নাকচ করে মে বলেছেন, “আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব”। ব্রাসেলসে চুক্তিটি সই করানো ছাড়াও এতে এমপি’দের সমর্থন আদায়ের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
তার ব্রেক্সিট চুক্তি ‘দেশের জন্য সবচেয়ে ভাল এবং সঠিক বলেও’ দাবি করেছেন মে।
কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে একমত হন। এ চুক্তিতে কিছু কঠিন এবং অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত আছে বলে মে স্বীকার করলেও এটি জাতীয় স্বার্থের দিকটি লক্ষ্য রেখেই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “চুক্তিতে কিছু বিষয়ে আপোস করা নিয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন সেটি আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু জনগণ যার জন্য ভোট দিয়েছিল এ চুক্তিতে সেটিই করা হয়েছে এবং তা জাতীয় স্বার্থেই হয়েছে।”