সিরিসেনা গত শুক্রবার পার্লামেন্টে ভেঙে দিয়ে ৫ জানুয়ারিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার আদালত প্রেসিডেন্টের এ ডিক্রি ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
সিরিসেনা গত২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ওই পদে নিয়োগ দেন। আর এরপরই তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
কিন্তু তার এ কর্মকাণ্ড অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ ওঠে। বিক্রমসিংহ প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দায়ের করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলও। দলগুলো সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রেসিডেন্টের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন করে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বেঞ্চ সিরিসেনার আদেশ রহিত করেছে। আদালতের রায়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনও স্থগিত হল।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন আদালত এলাকায় ভারি অস্ত্র সজ্জিত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর বিক্রমসিংহের সমর্থকরা বাজি পুড়িয়ে উল্লাস করে।
পরে এক টুইটে বিক্রমসিংহ বলেন, “জনগণ তাদের প্রথম জয় পেয়েছে। সামনে অগ্রসর হন এবং আমাদের প্রিয় দেশের জনগণের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন।”