গুপ্ত অভিযানকে ঘিরে ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত উত্তপ্ত, নিহত ৪

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক কমান্ডোদের গুপ্ত হামলার পর ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট নিক্ষেপ করেছে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2018, 06:22 AM
Updated : 13 Nov 2018, 06:32 AM

এই রকেট হামলা ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলে চালানো সবচেয়ে তীব্র রকেট হামলা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলার জবাবে গাজার টেলিভিশন স্টেশন ও অন্যান্য লক্ষ্যস্থলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় গাজায় তিন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরায়েলে এক বেসামরিক নিহত হয়েছেন।

উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তির উদ্যোগ বিফল হওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে। গাজা ও ইসরায়েলের আরেকটি বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

সোমবার গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি ইসলামি আন্দোলন হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো সীমান্তের অপর পাশে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে তিনশরও বেশি রকেট বা মর্টার বোমা ছুড়েছে।

এ সময় গাজা থেকে একটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয় বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি বাসে আঘাত করে তাতে এক ইসরায়েলি সেনা আহত হয় বলে জানিয়েছে তারা।

ইসরায়েলি বিমান হামলা ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি ফিলিস্তিনি বাস। ছবি: রয়টার্স

সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলি শহরগুলোতে ও বন্দর আশকেলোনে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কর্তা জানানো হলে বাসিন্দারা বোম শেল্টারগুলোতে গিয়ে জড়ো হন। বেশ কয়েকটি বাড়িতে রকেট আঘাত হানে।

এর জবাবে হামাসের গোয়েন্দা কম্পাউন্ড ও আল আকসা টেলিভিশন স্টুডিওসহ গাজার ভবনগুলো লক্ষ্য করে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। আল আকসার স্টুডিওগুলোতে হামলা চালানোর আগে সেগুলোর কর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য আগেই সতর্ক করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

এসব ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতি সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিশর, অপরদিকে হামাসের নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার ছদ্মবেশি ইসরায়েলি সামরিক কমান্ডোরা গোপনে গাজার খান ইউনুস এলাকার তিন কিলোমিটার ভিতরে অনুপ্রবেশ করে চলন্ত গাড়ি থেকে হামাসের সশস্ত্র শাখার একটি দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে হামাসের আল কাসাম বিগ্রেডের খান ইউনুস এলাকার কমান্ডার শেখ নুর বারাকাহ চার জন নিহত হন।

হামলাকারীরা ইসরায়েলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া করে আল কাসাম বিগ্রেডের অপর সদস্যরা। এ সময় দুপক্ষের গোলাগুলিতে এক ইসরায়েলি কর্নেল ও ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ট্যাঙ্কের গোলায় আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

এ ঘটনার পর গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালাতে শুরু করে। এর জবাবে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো গাজায় হামলা চালিয়েছে।  

পাল্টাপাল্টি এসব হামলার ঘটনায় গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।