আফগানিস্তানে তীব্র লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ৭৫ সদস্য নিহত

আফগানিস্তানের বিভিন্ন রণাঙ্গনে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৭৫ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2018, 09:56 AM
Updated : 12 Nov 2018, 09:58 AM

রোববার দেশটির গজনি ও ফারাহ প্রদেশের কয়েকটি রণক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্য নিহত হয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

রোববার রাতে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ফারাহ ও এর নিকটবর্তী জেলাগুলোর কয়েকটি চেকপয়েন্টে তালেবান বিদ্রোহীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৫০ জন সদস্য নিহত হন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে কয়েক ঘন্টা ধরে লড়াই চলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

তালেবানরা চেকপয়েন্টগুলোতে হামলার পাশাপাশি ফারাহ শহর ও নিকটবর্তী খাকি সাফেদ ও বালা বুলুক জেলায়ও হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ফারাহর প্রাদেশিক কাউন্সিলের উপপ্রধান শাহ মাহমুদ রহিমি।

এই লড়াইয়ে ৪৫ আফগান পুলিশ ও পাঁচ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র মহিবুল্লাহ মোহিব চেকপয়েন্টগুলোতে হামলার কথা নিশ্চিত করে লড়াইয়ে এক তালেবান কমান্ডার ও তার পাঁচ সঙ্গী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর হতাহতের কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে দাবি করেছেন।

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত ও জনবিরল ফারাহ প্রদেশের গ্রাম এলাকাগুলোর অধিকাংশই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। মে মাসে ইরানের পার্শ্ববর্তী এই প্রদেশটির কেন্দ্রস্থল ফারাহ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েকদিন দখলে রেখেছিল বিদ্রোহীরা।

একইদিন দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ গজনীতে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রায় ২৫ আফগান কমান্ডো নিহত হন।

এই প্রদেশটির মালিস্তান ও জাঘোরি জেলায় তালেবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে স্থানীয় বেসামরিক বাহিনীগুলো, যাদের মধ্যে শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের যোদ্ধারাই প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। এতে পশতুন ও হাজারাদের মধ্যে চলে আসা সম্প্রদায়গত বিরোধ লড়াইয়ের ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মালিস্তানের এলাকাগুলো কমান্ডোদের অপরিচিত হওয়ায় তালেবান হামলা সামাল দিতে পারেননি তারা, ফলে অনেকে নিহত হন। 

এক সংবাদ সম্মেলনে আফগান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ শরিফ ইয়াফতালি বলেছেন, “মালিস্তান ও জাঘোরিতে নতুন সেনা পাঠানো হয়েছে, স্থানীয় জনগণও সহযোগিতা করছে এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।”

কিছু কমান্ডো হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানাননি।