দুর্নীতি: ফিলিপিন্সের সাবেক ফার্স্ট লেডিকে গ্রেপ্তারে নির্দেশ

ফিলিপিন্সের দুর্নীতিবিরোধী আদালত দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোসকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2018, 09:19 AM
Updated : 9 Nov 2018, 09:19 AM

শুক্রবার দুর্নীতির সাতটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ৮৯ বছর বয়সী ইমেলদাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এসব অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাকে আলাদা আলাদাভাবে ৭ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগের সাজা দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য আদেশ দিলেও এখনই গ্রেপ্তার হচ্ছেন না সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের এ স্ত্রী।

তিনি চাইলে দুর্নীতিবিরোধী আদালতের গ্রেপ্তার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সাজা থেকে মুক্তি চাইতে আবেদন করতে পারবেন সুপ্রিম কোর্টেও।

শুক্রবার আদালতে ইমেলদা বা তার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না, জানিয়েছে রয়টার্স।

স্বামীর শাসনামলে অগাধ ধনসম্পদের মালিক হয়ে তা দিয়ে জুতা, গহনা ও আর্টওয়ার্ক কিনে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন এ নারী।

১৯৮৬ সালে সেনা সমর্থিত এক গণঅভ্যুত্থানে ফার্দিনান্দ ক্ষমতাচ্যুত হলে এ দম্পতির দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিদেশে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ১৯৮৯ সালে ফার্দিনান্দের মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিলের ১০ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ইমেলদার বিরুদ্ধে ম্যানিলার গভর্নর থাকাকালে সাত লেনদেনে এক সুইস প্রতিষ্ঠানে ২০০ মিলিয়ন ডলার পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।

ইমেলদার মেয়ে ইমে এখন মার্কোস পরিবারের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত ইলকস নর্তের মেয়র। তিনি আগামী বছর সিনেটে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মেয়ের ছেড়ে দেওয়া গভর্নরের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিবন্ধনও করেছেন ইমেলদা।

ফিলিপিন্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের সঙ্গে মার্কোস পরিবারের ঘনিষ্ঠতা আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

যদিও ইমেলদাকে গ্রেপ্তারের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে দুতের্তের কার্যালয়।

“নির্বাহী বিভাগ যে আদালতের কোনো সিদ্ধান্তেই হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার করে না ইমেলদা মার্কোসের বিরুদ্ধে এই আদেশই তার প্রমাণ; আদালতের এ সিদ্ধান্তকেও শ্রদ্ধার চোখে দেখছি আমরা,” বলেন দুতের্তের মুখপাত্র সালভাদর পানেলো।