সমুদ্রের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এ হংকং-ঝুহাউ-ম্যাকাউ সেতু। চারদিকে পানি আর পানি। সেতুটি চলে গেছে পার্ল রিভার ডেলটার পানির ওপর দিয়ে।
এতে রয়েছে দুটো লিংক রোডসহ পানির নিচের সুড়ঙ্গ। সেতুটি মাঝামাঝি একটি জায়গায় এসে পানির নিচ দিয়ে চলে গেছে ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ সেতুতে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের জন্য সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হয়েছে।
ভূমিকম্প, টাইফুনের ধাক্কা সামলেও দাঁড়িয়ে থাকার মত মজবুত করে তৈরি করা হয়েছে সেতুটির কাঠামো। নির্মাণকাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতুটি তৈরি করতে গিয়ে অন্তত ৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ সেতুর ওপর দিয়ে বাস এবং বাণিজ্যিক যানবাহনে পণ্য বহনসহ যাত্রী চলাচল করবে। তবে স্থানীয় ট্যাক্সি চলাচলের অনুমতি নেই। কেবল কিছু প্রাইভেট গাড়ি যাতায়াতের অনুমতি পাবে।
ভ্রমণের সময় বাঁচাতে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। এ সেতু ব্যবহারে হংকং থেকে ঝুহাই যেতে ৩০ মিনিট মত সময় লাগবে। যেখানে আগে সময় লাগত অন্ততপক্ষে ৪ ঘণ্টা। সেতুটি চালু হলে প্রতিদিন দিনে প্রায় ত্রিশ হাজার গাড়ি চলাচলের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে হংকংয়ে কেউ কেউ সেতুটি নির্মাণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হংকং কে চীনা মূল-ভূখন্ডের আরো কাছে নিয়ে আসার এ এক প্রতীকী প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন তারা।