১৯৮৭ সালে সই করা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের ওই মাইলফলক চুক্তি রাশিয়া ‘লঙ্ঘন’ করছে দাবি করে শনিবার তা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে বোল্টন সোমবার রাশিয়ায় পূর্বপরিকল্পিত সফরে গেলেন। পরমাণু অস্ত্রচুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে রয়েছেন বোল্টনও। সফরকালে ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী বৈঠক করবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ক্রেমলিন এরই মধ্যে সতর্ক করে বলেছে, তারা পারমাণবিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও আমাদের কথা শোনা প্রয়োজন। চুক্তি পরিহারের সিদ্ধান্তের কারণে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।”
চুক্তির আওতায় ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মস্কো ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর ২০১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আইএনএফ চুক্তিটি লংঘনের অভিযোগ করেছিলেন।
চুক্তিটি থেকে সরে আসতে ইউরোপের নেতারা সেসময় তাকে চাপ দিলেও ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরু হতে পারে এ আশঙ্কা থেকে’ ওবামা তাতে সায় দেননি।