স্থানীয় সময় রোববার ভোররাতে সাউথ ক্যারোলাইনার ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্লাবহাউসে বার্ষিক হোমকামিং পার্টি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে, খবর বিবিসির।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের ওই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটির কমন এরিয়া ধসে পার্টিতে উপস্থিত লোকজনের একটি অংশ নিচে বেইসমেন্টে পড়ে যায়, তাদের অনেকের হাড়গোড় ভেঙে গেছে।
এ ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে জরুরি বাহিনীর কর্মীরা উপস্থিত হয় এবং ২৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গ্রিনভেল নিউজকে শিক্ষার্থী লারিসা স্টোন বলেছেন, “পুরো ফ্লোরটিই ধসে পড়েছে। সবাই ব্যথা পেয়েছে। কারো কারো শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। আমরা জুতায়ও রক্ত লেগেছিল। খুবই খারাপ পরিস্থিতি ছিল।”
স্থানীয় সংবাদ চ্যানেল ডব্লিউিএসপিএ-টিভিকে ওই পার্টিতে যোগ দেওয়া লিরয় পিয়ারসন বলেছেন, “সবাই ফ্লোরের ওপর লাফাচ্ছিল, এরপর কী হল, আমি এখনও পড়ে যাওয়ার অনুভূতি অনুভব করছি। আমি চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলাম, চেতনা ফেরার পর দেখলাম সব মেয়েদের মুখ রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে।”
পার্টিতে উপস্থিত অন্যান্যরা ধসে পড়ার ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করেছেন এবং অনলাইনে পোস্ট করেছেন। এতে ফ্লোরে লাফলাফি করার সময় সেটি ধসে পড়তে ও ধসে পড়ার পর লোকজনের চিৎকার, চেঁচামেচি শোনা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “আহতদের মধ্যে কতোজন ক্লেমসনের শিক্ষার্থী তা নির্ধারণে কাজ করছে ক্লেমসন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক জন থাকলে তাদের জানাবে তারা।”
সাউথ ক্যারোলাইনার উডল্যান্ড এলাকার ক্লেমসনের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটি ২০০৪ সালে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।