সহিংসতা-বিলম্ব উপেক্ষা করে ভোট দিচ্ছে আফগানরা

আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রাণঘাতী সহিংসতা এবং যান্ত্রিক সমস্যাসহ নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটগ্রহণে বিলম্ব উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 21 Oct 2018, 11:40 AM
Updated : 21 Oct 2018, 12:01 PM

আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রাণঘাতী সহিংসতা এবং যান্ত্রিক সমস্যাসহ নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটগ্রহণে বিলম্ব উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিচ্ছে।

দেশটিতে শনিবার নির্বাচন শুরুর পর রোববার দ্বিতীয় দিনের মত ভোটগ্রহণ চলছে। দেশজুড়ে কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনায় এরই মধ্যে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছে। শনিবার নির্বাচনের দিনটিতেই বেশিরভাগ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

কাবুলে একটি আত্মঘাতী বোমায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। আরেকটি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩ জন এবং আহত হয়েছে ৩০ জন। কাবুলের উত্তর-পশ্চিমের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা একটি বিস্ফোরক ডিভাইস নিস্ক্রিয় করতে গিয়ে আহত হয়েছে। কুন্দুজে হামলায় তিনজন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। নানগরহারে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে অন্তত চারজন। তবে বিভিন্ন খবরে নিহতের সংখ্যা ১১ বলা হয়েছে।

এ ব্যাপক সহিংসতার মধ্যেও দিনটিতে ভোট দিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ আফগান। অনেক ভোট কেন্দ্রে স্টাফরা না আসায় ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগও করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভোটার যাচাইয়ের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ত্রুটির কারণেও বহু ভোটারকে দেরিতে ভোট দেওয়ার ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ৭০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে। কিন্তু তারপরও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কারণে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ভোট কেন্দ্রই বন্ধ ছিল।

ফলে রোববার আরেকবার ভোটারদেরকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে। রোববার ৪০১ টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। তবে এর মধ্যে খোলা হয়েছে মাত্র ২৫৩ টি কেন্দ্র। মোতায়েন করা হয়েছে ৫শ’ বাড়তি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

ভোটে দেরী হওয়ার কারণে উরুজগানে ১৫ জন বায়োমেট্রিক ডিভাইস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে গিয়ে আটক হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের স্টাফরা সময়মত হাজির হতে না পারায় বহু ভোটকেন্দ্রই দেরিতে খুলেছে।

 এত সব বিঘ্নের মাঝেও ভোটার উপস্থিতি অনেক ভাল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বহু ভোটকেন্দ্রেই দেখা গেছে ভোটারদের লম্বা সারি। ভোটারদের লাইন আরো লম্বা হচ্ছে। যে কোনো সময় বোমা বিস্ফোরণের মুখে পড়ার আশঙ্কা নিয়েই ভোট দিচ্ছে তারা।

তবে ভোটের ফল খুব তাড়াতাড়ি বের হওয়ার আশা নেই। ভোটের প্রাথমিক ফল নির্বাচনের ২০ দিন পর ১০ নভেম্বরে প্রকাশ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।