শনিবারের এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির সড়ক যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে, বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে বলে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
বন্যার কারণে দোকানপাট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ আবহবিদ স্টেফ গাল্টার এক টুইটে জানিয়েছেন, শনিবার কাতারের রাজধানী দোহার একটি অংশে প্রায় এক বছরের সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।
“আবু হামরে (দোহার একটি এলাকা) ৫৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,” টুইটে লিখেছিলেন তিনি। পরে সন্ধ্যার মধ্যে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।
দোহার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৭৭ মিলিমিটার।
অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার কারণে কাতার এয়ারওয়েজের কিছু ফ্লাইট গন্তব্য পরিবর্তনে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রতিবেশী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কাতারের চলমান কূটনৈতিক বিরোধের কারণে ওই দেশগুলো দোহাকে তাদের আকাশ পথ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় ফ্লাইটগুলো সমস্যায় পড়ে।
কাতারগামী কিছু ফ্লাইটকে কুয়েতে ও ইরানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা আরও সমস্যায় পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে এয়ারলাইনটি।
“দোহার আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ফ্লাইটগুলো ছাড়তে ও নামতে দেরি হতে পারে,” এক টুইটে বলেছে কাতার এয়ারওয়েজ।
জারি করা এক সতর্কতায় কাতার পিডব্লিউডি চালকদের টানেল পথগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
দোহাতে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো পানিতে প্রায় ডুবে আছে। অন্যান্য ফুটেজে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি ভবনের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে আর কর্মীরা পানি আটকানোর চেষ্টা করছে।
বন্যার কারণে কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। লাইব্রেরিটি রোববার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
‘আবহাওয়াজনিত কারণে’ দোহার মার্কিন দূতাবাসও রোববার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ হিসেবে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কাতার। বন্যার এই ব্যাপ্তি তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।