একুয়েডরের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে অ্যাসাঞ্জ

দূতাবাসের ভেতর ছয় বছর ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ একুয়েডরের সরকারের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে উইকিলিকস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2018, 06:58 AM
Updated : 20 Oct 2018, 07:41 AM

লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতার ‘মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা’ লংঘনের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অভিযোগ দায়েরে উইকিলিকসের আইনজীবী বালতাসার গারজোন এর মধ্যেই একুয়েডর পৌঁছেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশটির আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু হতে পারে বলে ধারণা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের।

পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সাল থেকেই লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আছেন।

সুইডেনে হওয়া ধর্ষণ মামলার বিচার এড়াতে যুক্তরাজ্যে করা জামিন আবেদনের শর্তাবলী লঙ্ঘন করার দায়ে পরে ব্রিটিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে।

গত বছরের মে মাসে সুইডেনের আদালত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিলেও, যুক্তরাজ্যে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল থাকে। পরোয়ানাটি বাতিল চেয়ে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আবেদন করলেও তাতে সাড়া মেলেনি।

লেনিন মোরেনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চে দূতাবাসের ভেতর অ্যাসাঞ্জের বেশ কিছু কূটনৈতিক সুবিধা রহিত করে একুয়েডর। কেটে দেয়া হয় ‘হুইসেলব্লোয়ারের’ ইন্টারনেট সংযোগও।

গত সপ্তাহ থেকে অবশ্য এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার বন্ধ করে দেওয়া বেশ কিছু সুবিধা পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একুয়েডর।

বাড়ানো হয়েছে তার পোষা বিড়ালের সুযোগ সুবিধা, আইনজীবী ও দর্শনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

অ্যাসোঞ্জের গন্তব্য নিয়ে একুয়েডর ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে আলোচনা চলছে বলেও দুই দেশ নিশ্চিত করেছে।