আগামী নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এ পরিবহন ব্যবস্থা আবার উদ্বোধনের উদ্যোগ নেবে দু’দেশ।
দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সে পথে এটি আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গত মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন তৃতীয়বারের মত সীমান্তের যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজমে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নতুন করে এবং আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নতির কার্মপরিকল্পনা নিয়ে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনার পর দক্ষিণ এবং উত্তর এ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।”
১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ শেষের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
এ পরিবহন ব্যবস্থা আবার চালুর আগে দুই দেশ যৌথভাবে এ বিষয়ে মাঠ জরিপ করবে বলে জানানো হয়েছে এক বিবৃতিতে।
দুই দেশ ২০৩২ অলিম্পিকের যৌথ আয়োজক হওয়ার দৌড়ে নামার কথাও ভাবছে। এ মাসের শেষ দিকে তারা এ বিষয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খুব শিগগিরই দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টাও চলছে।