ইরানে ‘সরকার পরিবর্তন’ করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র: রুহানি

যুক্তরাষ্ট্র ইরানে ‘সরকার পরিবর্তন' করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

>>রয়টার্স
Published : 14 Oct 2018, 04:49 PM
Updated : 14 Oct 2018, 04:49 PM

গত চার দশকের মধ্যে বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে সবচেয়ে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত মে মাসে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প। তারপর থেকেই চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ভাষণে রুহানি বলেন, “গত ৪০ বছরে ইরানের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের মত বিদ্বেষী প্রশাসন আর ছিল না।”

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের কৌশল ব্যবহার করে ইরানের বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে বলেও মনে করেন তিনি।

বলেন, “ইরানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আস্থা নষ্ট করাই তাদের মূললক্ষ্য। কিভাবে সরকার পরিবর্তন হবে? সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা হ্রাসের মাধ্যমে, নতুবা কোনো সরকার পরিবর্তন সম্ভব না।”

ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে দেশটির উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির উপর নতুন করে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের তৃতীয় তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায়। আগামী মাস থেকে ইরানের তেল রপ্তানির উপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ ইরানের কাছ থেকে তেল কিনলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ইরানের মুদ্রা বাণিজ্য, ধাতব এবং অটো সেক্টরেও গত অগাস্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

রুহানি বলেন, “নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবে না।

“ট্রাম্প ভাবছেন, বিশ্ববাজারে তেলের যে ঘাটতি হবে তা সৌদি আরব পূরণ করতে সক্ষম। কিন্তু এই মুহূর্তে ইরানের তেলের দাম ৮০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যে কারণে আগের চেয়ে অর্ধেক রপ্তানি হলেও আমাদের আয়ের পরিমাণ একই থাকবে।”