শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি গোপন আর্থিক নথিপত্রের ভিত্তিতে একথা জানিয়েছে। এর আগে একইভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও কর ফাঁকি দেওয়ার তথ্য দিয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত প্রায় এক দশকে জ্যারেড কুশনারের পারিবারিক কোম্পানি আবাসন শিল্পে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। বেড়েছে কুশনারের ব্যক্তিগত বিনিয়োগও, সেইসঙ্গে তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে ৩২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এরপরও কুশনারের আয়কর প্রদাণের খাতা প্রায় শূন্য।
বলা হচ্ছে, কুশনারের কোম্পানি আয়কর ফাঁকি দেওয়ার খুব প্রচলিত একটি কৌশল অবলম্বন করেছে। তার কোম্পানি বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি ডলার লোকসান দেখিয়ে আসছে, যে কারণে কুশনারের কর বিল ছিল খুবই কম।
যদিও কুশনারের কোম্পানির ওই লোকসান শুধুমাত্র কাগজেকলমে। আদতে কুশনার বা তার কোম্পনি কখনোই লোকসানে ছিল না। বরং তারা অবচয়ের মাধ্যমে ওই লোকসান দেখায়। আবাসন শিল্পে বিনিয়োগের একটি অংশ কাগজপত্রে দেখানো হয়নি। এভাবে কোম্পানি তাদের ভবন বা জমির দাম কম দেখিয়ে প্রতিবছর আয়কর যোগ্য আয় কম দেখিয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে কুশনার তার পারিবারিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসেবে বেতন এবং বিনিয়োগের মুনাফা হিসেবে ১৭ লাখ মার্কিন ডলার ঘরে তুলেছেন। কিন্তু ওই বছর তিনি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান দেখিয়েছেন, যা তার আয় ছাড়িয়ে গেছে। অথচ ওই লোকসানের বেশির ভাগই আসলে ‘অবচয়’, যা কুশনার ও তার কোম্পানি আবাসন শিল্পে দেখিয়েছে।
তবে কুশনার বা তার কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করেছে এমন কোনোকিছু নথি পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসেনি বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এমনিক, কুশনারকে বছরে ঠিক কী পরিমাণ আয়কর দিতে হয় সে হিসাবও দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কুশনারের আইনজীবীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শনিবার বলেন, অনুমান নির্ভর এই প্রতিবেদন নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।
“একটি অসম্পূর্ণ নথির ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নথি ব্যবসার গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি লঙ্ঘন করে হাতানো হয়েছে, যা বেআইনি।”